বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে কোনো দিন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। শান্তিপূর্ণ নিরব পথযাত্রার মাধ্যমে এই দানব সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব। সরকারকে বলে দিতে চাই, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। অন্যথায় ভারাক্রান্তভাবে চলে যেতে হবে। পালাবার কোনো পথ পাবেন না।’
আজ শনিবার বেলা আড়াইটায় রাজধানীর বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা দাবিতে রাজধানীতে চার দিনের পদযাত্রার আজ প্রথম দিনের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। মালিবাগের আবুল হোটেল পর্যন্ত গিয়ে এটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন চলছে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘চাল, ডাল থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুর দাম বেড়ে গেছে, রিকশাশ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা জীবনযাপন করতে পারছে না। কথা বলতে গেলে এই সরকার মামলা করে, গ্রেপ্তার করে। বিরোধী নেতাকর্মীদের আটক করে রাখা হয়েছে। গোটা দেশকে তারা কারাগারে পরিণত করেছে।’
দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নাই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ গৃহবন্দি, মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশের বাইরে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা- এ সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’
এ সময় সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপি নেতা মীর সরফত আলী সপু, নাজিম উদ্দিন আলম, তাবিথ আউয়াল, বজলুল বাছিত আঞ্জু, সাইফুল আলম নিরব, শামীম পারভেজ, আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য শেষে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়। তিনি এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। রাস্তার এক পাশ দিয়ে এই পদযাত্রা কর্মসূচিতে ব্যানার ফেস্টুনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। নিরব পদযাত্রা হলেও নেতাকর্মীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়। পদযাত্রার কারণে সড়কের একপাশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পদ্পাযাত্রার শুরুতে আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের যেভাবে কথা হয়েছে, সেভাবে শান্তিপূর্ণভাবে আমরা পদযাত্রা কর্মসূচি করব। বিপরীত পাশের সড়কে আমরা কেউ যাব না। ওই পাশের সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।’