আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতার্তের মাদক যুদ্ধের সময়কার সম্ভাব্য ‘মানবতার বিরুদ্ধে’ অপরাধ নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। কথিত ওই যুদ্ধের সময় হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছিল।
হেগভিত্তিক আইসিসি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুতার্তের বিরুদ্ধে তদন্তের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু ফিলিপাইন সরকারের অনুরোধে ২০২১ সালের নভেম্বরে তা স্থগিত করে। ওই সময় ম্যানিলা জানিয়েছিল, তারা নিজেরাই বিষয়টি পর্যালোচনা করবে।
বৃহস্পতিবার আইসিসি জানায়, তারা ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষের তদন্তে সন্তুষ্ট নয়।
দুতার্তে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করার পরই মাদকের সাথে সন্দেহভাজনদের ‘হত্যা’ করার জন্য বার বার পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাতে থাকেন।
জাতিসঙ্ঘ ২০২১ সালের এক প্রতিবেদনে জানায়, মাদকবিরোধী অভিযানে ৮,৬৬৩ জন নিহত হয়েছে। তবে ফিলিপাইনের মানবাধিকার কমিশন এবং স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, নিহতের সংখ্যার এর অন্তত তিনগুণ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, পুলিশ অন্যায় হত্যাকাণ্ডকে ভ্রান্তভাবে যৌক্তিক হিসেবে অভিহিত করেছে। দুতার্তে ‘একটি অপরাধের সমাধান হিসেবে বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন ব্যাপকভাবে।’
দুতার্তে ২০১৮ সালের মার্চে জানান, তিনি ফিলিপাইনকে আইসিসি থেকে প্রত্যাহার করছেন। তার সিদ্ধান্ত এক বছর পর কার্যকর হয়। তিনি ঘোষণা করেন, তার সরকার তদন্তের সাথে সহযোগিতা করবে না।
আদালতের ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত তদন্ত করার এখতিয়ার রয়েছে। ওই সময় পর্যন্ত ফিলিপাইন আদালতটির সদস্য ছিল।
ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ছয় বছর। প্রেসিডেন্টরা সেখানে এক মেয়াদেই দায়িত্ব পালন করতে পারেন। গত বছর দুতার্তের স্থলাভিষিক্ত হন ফার্ডিন্যান্ড মার্কোস। তিনি মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তিনি পুনর্বাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করবেন বলে জানিয়েছেন।
সূত্র : আল জাজিরা