হেলিয়ান্থাস, ঢাকা : নয়ন এনকে (Solidarités Asie France (SAF) এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং প্যারিসীয় যুব কাউন্সিলর) মাইগ্রেশন অ্যালায়েন্সের দ্বিতীয় সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছেন, যেটি ২৬ এবং ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ এ পর্তুগালের লিসবনে অনুষ্ঠিত হবে।
ইভেন্টের আগের দিন ২৫ জানুয়ারী সন্ধ্যা ৭ টায়, নয়ন এনকে সোহো সব বক্তাদের লিসবন সিটির মেয়র Junta de Freguesia da Misericórdia হলে একটি স্বাগত ককটেলে আয়জন করেছে।
২৬ জানুয়ারী মোট ১২টি ভিন্ন ভিন্ন সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে অভিবাসীদের বিষয়ে তার পরে হবে গোল টেবিল বৈঠক হবে এবং ২৭ জানুয়ারী ৩টি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হবে যেগুলির উদ্দেশ্য হল একটি সাধারণ এজেন্ডা তৈরি করা যার মাধ্যমে সম্মিলিত হয়ে অভিবাসন এবং অভ্যর্থনা নীতির বিষয় নিয়ে কাজ করা যাতে করে অভিবাসীদের ভালো করে রক্ষা করা যাই।
ওয়ার্কশপ ১: অভিবাসনের আরেকটি শাসনের জন্য ওকালতি সংগঠিত করি
ওয়ার্কশপ ২: নাগরিকত্ব/অভ্যর্থনার অন্যান্য সম্ভাব্য মডেল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা
ওয়ার্কশপ ৩: অঞ্চলগুলির মধ্যে নেটওয়ার্কিংকে শক্তিশালী করি৷
সেমিনার এবং ওয়ার্কশপগুলি লিসবন নোভা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং অংশগ্রহণকারীরা হবেন: ফ্রান্স, বেলজিয়াম, তিউনিসিয়া, মৌরিতানিয়া, ব্রাজিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পর্তুগাল, উরুগুয়ে, মেক্সিকো, ইতালি, কানাডা, জার্মানি, গ্রীস। বক্তারা বিভিন্ন পেশার: ডেপুটি, সিনেটর, মেয়র, ডেপুটি মেয়র, ডেপুটি ডিরেক্টর অব মাইগ্রেন্টস, ডিরেক্টর অফ অ্যাসোসিয়েশন…
নয়ন এনকে কথা বলবেন “রাজনৈতিক এবং নাগরিকদের অংশগ্রহণ মাইগ্রেশনে” এবং তার সাথে বক্তব্য রাখবেন মোহাম্মদ ওয়াজদি আইদির সাথে, Sfax (তিউনিসিয়া) শহরের ডেপুটি মেয়র।
“এশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে সম্মেলনে যুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত” উল্লেখ করে সাফ’র প্রেসিডেন্ট নয়ন এনকে বলেন, মূলত- ইমিগ্রেশন নিয়ে যে সংগঠনগুলো নিয়মিত কাজ করে তাদেরকে একত্রিত করে আরো বিশদভাবে কাজ করার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন নিয়েই এ সামিটের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে। যেহেতু আমার সংগঠন ‘সলিডারিতে অ্যাসি ফ্রঁস’ দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মিত ও অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সে হিসেবে আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
নয়ন এনকে, মূলত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ফরাসি কিন্তু তিনি ফ্রান্সে বড় হয়েছেন এবং পড়াশোনা করেছেন। তিনি ফরাসি কর্তৃপক্ষ এবং ফরাসি নির্বাচিত কর্মকর্তাদের কাছে বাংলাদেশীদের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং বাংলাদেশিদের সুবিধার জন্য কাজ করেন।
তিনি বিভিন্ন যোদ্ধাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন: অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণ (তিনি বেলজিয়াম, মার্সেই, মন্টপেলিয়ার… গিয়েছিলেন অনিয়মিতদের নিয়মিত করতে), বাংলাদেশীদের পাসপোর্টের সমস্যা, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই ইত্যাদি।
তিনিই প্রথম বাংলাদেশী যিনি বিভাগীয় নির্বাচনে প্রার্থী (ভাইস চেয়ারম্যান) ছিলেন এবং আরো অনেক বিষয়ে অবদান রেখেছে, রাখছে আরো রাখবে এবং আমরা আশা করি তিনি এভাবেই আরো অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যাবে বাংলাদেশ, ফ্রান্স এবং এশিয়াকে।