বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী এপ্রিলে। সংবিধান অনুযায়ী পরপর দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি পদে থাকার সুযোগ নেই।
মো. আব্দুল হামিদের পর কে হচ্ছেন, বঙ্গভবনের নতুন বাসিন্দা বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনায় কয়েকজনের নাম। রাষ্ট্রের শীর্ষ এই পদটির জন্য প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে ঘিরে চলছে জোর আলোচনা।
সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গতকাল মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সাথে বৈঠকে বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। পরে জানান, বুধবার (২৫ জানুয়ারি) কমিশন বৈঠকেই চূড়ান্ত হবে তফসিল।
সিইসি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার আগে স্পিকারের সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ করতে হয়। আমি সেটি করেছি। আমাদের সাক্ষাৎ ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ের।
তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বুধবার বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশনে সভা করব। সভা করে আমরা তফসিলটা উন্মুক্ত করব। তখন আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সংবিধানের ১২৩ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে এ পদ শূন্য হলে মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন হবে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সংসদ সদস্যদের ভোটে। সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের প্রার্থীর রাষ্ট্রপতি হওয়াটা নিশ্চিত।
সবশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি। সে সময় ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারিত থাকলেও প্রার্থী একজন থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মো. আবদুল হামিদ। আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে তার শেষ মেয়াদ। এবার ২৩ জানুয়ারি থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে।