হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা সদরে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্মলেন্দ্র চক্রবর্তীসহ উভয়পক্ষের শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ রয়েছে।
বুধবার (১০ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা সদরের সৈদ্যাটুলা মহল্লায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে সেলিম (২৫), ফজল (২৬), ইউসুফ (২২), মনসুর (৫০), শাবান (৪০), ওয়াদুদ (৪৫), আলী (৫০), মখলিস (২৬), আজাদ (২৮) ও কুদ্দুসসহ (২৫) অন্তত ৫০ জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্মলেন্দ্র চক্রবর্তী, ওসি (তদন্ত) দেলোয়ার হোসেন এবং কনস্টেবল আব্দুল্লাহসহ বাকি আহতদের বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সৈদ্যাটুলা মহল্লার তোপখানা এলাকার বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়ার সঙ্গে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একই মহল্লার সর্দার বাহার খানের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে।
এর জের ধরে বুধবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষ লাঠিসোটা, টেঁটা ও ফিকলসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র ব্যবহার করে। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার ওসি নির্মলেন্দু চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় ওসিসহ উভয়পক্ষের শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়।
পরে পুলিশ দুই রাউন্ড টিয়ার শেল এবং ১৩ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্মলেন্দু চক্রবর্তী জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।