নিউজিল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ক্রিস হিপকিন্স। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে জেসিন্ডা আরডার্নের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের পর তার উত্তরসূরি কে হবেন, এ নিয়ে যে জল্পনা শুরু হয়েছিল তা থমকে গেল। হিপকিন্স বর্তমানে দেশটির পুলিশ, শিক্ষা এবং জনসেবাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, নিউজিল্যান্ডে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি আজ শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হিপকিন্সই একমাত্র প্রার্থী যাকে দলের পরবর্তী নেতা হিসেবে মনোনীত করা হবে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে দলের সংসদীয় ককাসের বৈঠকের পর।
লেবার পার্টির হুইপ ডানকান ওয়েব এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘লেবার পার্টির সংসদীয় ককাসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে রোববার দুপুর ১টায়। সেখানেই হিপকিন্সের দলীয়প্রধান হওয়ার বিষয়টির প্রস্তাব উত্থাপন এবং পাস করা হবে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী হলেও খুব বেশি সময় দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হবে না হিপকিন্সের। কারণ, আগামী ১৪ অক্টোবর দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
হিপকিন্স প্রথমবার সরকারি দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষাবিদ হিসেবে। নিউজিল্যান্ডের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের আমলে হিপকিন্স দেশটির দুজন শিক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০০৮ সালে তিনি প্রথমবারের মতো দেশটির পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
২০১৩ সালের শুরুতে তিনি লেবার পার্টির শিক্ষাবিষয়ক মুখপাত্রের দায়িত্ব পান। ২০১৭ সালে তিনি দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। কোভিড মহামারির সময় ২০২০ সালের নভেম্বরে তিনি দেশটির কোভিডবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।