ঢাকা: ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে কাজ করছে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। এ লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে দেশ। বিশ্ব অর্থনৈতিক সূচকেও উন্নতি লক্ষণীয়। চলতি মূল্যের ভিত্তিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি ১৪ ধাপ এগিয়ে এখন ৪৪তম। রয়েছে আরও নানামুখী অর্থনৈতিক উন্নয়ন চিত্র।
এ তথ্য জানা যায় বিশ্ব ব্যাংকের ‘বিশ্ব উন্নয়ন সূচক’ থেকে।
বিশ্ব ব্যাংকের সবশেষ সূচক অনুযায়ী, চলতি মূল্যের ভিত্তিতে জিডিপিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৪তম। যেখানে ২০১৩ সালের হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ৫৮ তম। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে সামনে এগিয়েছে ১৪ ধাপ।
একই সঙ্গে ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) জিডিপিতেও বাংলাদেশ সামনে এগিয়েছে তিন ধাপ। ২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ৩৬তম। তবে ২০১৫ সালে উঠে আসে ৩৩তম স্থানে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের এ অগ্রগতি ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।
গত ছয় বছরে ক্রমাগতভাবে ৬.২ শতাংশ হারে জিডিপি অর্জন করে চলেছে বাংলাদেশ। যা গোটা বিশ্বের কাছে প্রশংসা পেয়েছে। তছাড়া প্রবৃদ্ধি
এখন উন্নীত হয়েছে ৬.৫১ শতাংশে।
সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার। বৈদাশিক মুদ্রার রির্জাভ ছাড়িয়েছে ২৪ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি আয় ৩০ বিলিয়ন ডলার।
অর্থনীতির ধারাবাহিক এ সাফল্যের ছোঁয়া লেগেছে মানুষের জীবন মানেও। গত ৬ বছরে ৫ কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উঠে এসেছে। ২০০০ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ছিলো ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। পরের পাঁচ বছরে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ২০০৫ সালে দারিদ্র্যের হার দাঁড়ায় ৪০ শতাংশে। আর ২০১০ সালে দারিদ্র্যের হার ছিলো ৩১.৫ শতাংশ, যা বর্তমানে নেমে এসেছে ২৪ শতাংশে।
২০১৮ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার আরও ১০ শতাংশ নীচে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান বিকাশের পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। বিগত সময়ে সরকার মূল্যস্ফীতি ১৩ শতাংশ থেকে ৬.৩ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
ক্রমাগত এ অর্থনৈতিক সাফল্যে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশপ্রশংসা করছে বাংলাদেশের।