প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন। আজ সোমবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তিনি।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এম ফরিদুল হক খান বলেন, ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন, যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মডেল মসজিদগুলোয় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ অজু ও নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে। এ ছাড়া থাকবে হজ গমনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণকেন্দ্র, গবেষণাকেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের আগের আনুষ্ঠানিকতা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও পবিত্র কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামি সাংস্কৃতিক সম্মেলনকক্ষ। আরও থাকছে ইসলামি দাওয়াত, ইসলামিক বই বিক্রয়কেন্দ্র ও মসজিদের সঙ্গে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য একটি বোর্ডিং সুবিধা।
এর আগে ২০২১ সালের ১০ জুন মোট ৫৬৪টির মধ্যে ৫০টি মডেল মসজিদের প্রথম ধাপের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
যেসব এলাকায় মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নগরকান্দা, গাজীপুরের কাপাসিয়া, গোপালগঞ্জের সদর উপজেলা, কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলা, কটিয়াদী, মানিকগঞ্জের ঘিওর, সাটুরিয়া, নরসিংদীর সদর উপজেলা, মনোহরদি, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা, জেলা সদর, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা, বগুড়ার ধুনট উপজেলা, নন্দীগ্রাম, নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলা, পাবনার ভাঙ্গুরা সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া, ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলা, শেরপুরের সদর উপজেলা, পিরোজপুরে সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর ও কসবা, খাগড়াছড়ির সদর উপজেলা ও মানিকছড়ি, কুমিল্লার চান্দিনা ও চৌদ্দগ্রাম, খুলনার রূপসা, কুষ্টিয়ার খোকশা ও ভেড়ামারা, মেহেরপুর জেলা সদর ও গাংনী, সাতক্ষীরার দেবহাটা, সিলেটের গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জ জেলা সদর এবং জগন্নাথপুর, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা।