‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’- এই প্রবাদবাক্যের সঙ্গে অনেকেই একমত। তাই স্ত্রীকে বলা হয় অর্ধাঙ্গিনী। অর্থাৎ স্বামী এবং স্ত্রী দুজন মিলে তবেই সংসার পরিপূর্ণ। বিবাহিত জীবন সুখ ও শান্তিপূর্ণ করে তুলতে দুজনের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ। স্বামীর জীবনেও তাই স্ত্রীর গুরুত্ব অনেকটাই। স্ত্রীর যদি বিশেষ কিছুগুণ থাকে তবে স্বামী হিসেবে আপনি সৌভাগ্যবান।
জেনে নিন তেমনই চারগুণের কথা—
ঘরের কাজে দক্ষ : দুজন মিলে সংসারে যতই কাজ করুন না কেন, মেয়েরা যেমন নিখুঁতভাবে সংসার গুছিয়ে রাখতে পারেন; ছেলেরা ততটা পারেন না। তাই যে সংসারে স্ত্রী গৃহকর্মে খুব নিপুণ হন সেই সংসারে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি বিরাজ করে। সেই স্ত্রী সমাজ ও সংসারে বিশেষ সম্মান লাভ করেন, সাথে সাথে ওই স্বামীর জীবন খুশিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
মিষ্টভাষী : কথায় আছে, মুখের কথা দিয়েই বিশ্বজয় করা যায়। তবে তা হতে হবে ইতিবাচক। যে স্ত্রী সবার সঙ্গে খুব ভালোভাবে কথা বলেন, কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন না তিনি বিশেষ গুণের অধিকারী। আর তার স্বামী খুবই সৌভাগ্যবান তা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না!
স্বামীর পরিবারকে আপন করে নেওয়া : বিয়ে মানেই প্রত্যেক স্ত্রীর জন্য নতুন একটি পরিবারে আগমন। বিয়ের পর সব মেয়েকেই তার স্বামীর বাড়িতে থাকতে হয়। যে স্ত্রী নতুন বাড়িতে এসে নতুন পরিবারকে আপন করে নেন, নতুন পরিবারের সবকিছুর সঙ্গে মিলেমিশে থাকেন, তিনি গুণবতী স্ত্রী। তাই তার স্বামী সত্যিই ভাগ্যবান।
স্বামীকে শ্রদ্ধা করা : যে স্ত্রী তার স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা রাখেন এবং তার নির্দেশ মেনে চলার চেষ্টা করেন, তার স্বামী খুবই সৌভাগ্যবান। যে স্ত্রী স্বামীর কথা গুরুত্ব সহকারে নেন, সেই স্বামীকে সৌভাগ্যবান মনে করা উচিত।