সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১০ জানুয়ারি,২০২৩ (মঙ্গলবার)সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশ এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম,পিইঞ্জ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশ এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম,পিইঞ্জ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পর বাংলাদেশকে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে মাত্র সাড়ে তিন বছর সময়ে পেয়েছিলেন। এই সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশের এমন কোন সেক্টর নেই যেই সেক্টরে জাতির পিতার অবদান নেই।
মাননীয় উপাচার্য বলেন,বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে এখন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছি। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের সূত্রপাত হয়েছিলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হাতে।সকল ধরনের তথ্য-উপাত্ত কম্পিউটারে বিশ্লেষণ করার জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে জাতির পিতা সর্বপ্রথম কম্পিউটার নিয়ে এসেছিলেন। আজকে আমরা মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি কিন্তু ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বেতবুনিয়া উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র স্থাপন করে গেছেন,আজকের টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম জাতির পিতা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এভাবে প্রতিটি সেক্টরে জাতির পিতার অবদান রয়েছে।
মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। দীর্ঘ সাড়ে ৯ মাস পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকার পর লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে কষ্টার্জিত বিজয় পরিপূর্ণতা আসে।