মানিকগঞ্জ সেন্ট্রাল স্পেশালাইজড হাসপাতালের লিফটের তার ছিড়ে আহত হয়েছেন সাতজন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়ে তিনজন ওই হাসপাতালে ভর্তি আছেন আর বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার পৌর সুপার মার্কেটে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহতরা হলেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পালরা গ্রামের মনোয়ারা বেগম (৬৫), বেতিলা গ্রামের জহিরুল ইসলাম (২৫) ও সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামের আয়েশা আক্তার (২১)।
আহত জহিরুল ইসলাম ইসলাম জানান, ‘ডাক্তার দেখানোর জন্য আমি একজন রোগী নিয়ে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পৌর মার্কেটে অবস্থিত মানিকগঞ্জ সেন্ট্রাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে আসি। নিচ তলা থেকে আমরা ৭ থেকে ৮ জন লোক ৩য় তালায় যাওয়ার জন্য লিফটে উঠি। ৩য় তালায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লিফট ছিঁড়ে নিচ তালায় পড়ে যাই। আমরা এতে কমবেশি সবাই আহত হই।’
হাসপাতালের ম্যানেজার মো. বাবুল আক্তার খান জানান, প্রায় একমাস আগেও এমন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এছাড়া সমস্যার কারনে বৃহস্পতিবার লিফটি মেরামত করা হয়েছে। তারপরও কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটলো সেটা পরে বলা যাবে। আহতদের মধ্যে মনোয়ারা বেগম ও জহিরুল ইসলাম এবং আয়েশা আক্তার বেশী আহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন সবাইকে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি।
তবে হাসপাতালের মালিক ডা. সৈয়দ জালাল উদ্দিন আহম্মেদ দাবি করে বলেন, দুর্ঘটনার পিছনে আমাদের কোনো ত্রুটি ছিল না, দুর্ঘটনা দায় আল্লাহর হাতে। তবে বিষয়টি দুঃখজনক। হাসপাতালের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনায় আহতদের সুচিকিৎসার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।