গেল কয়েক দিন ধরে আলোচনায় আছেন তারকা দম্পতি শরিফুল রাজ ও পরীমনি। সিনেমার কারণে নয়, আলোচনায় তাদের ব্যক্তিজীবন। রাজ-পরীর সংসার ভালো যাচ্ছে না—এটা তাদের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখলেই বোঝা যায়। পরীর অভিযোগ, রাজ তার গায়ে হাত তোলেন। এ কারণেই রাজের জীবন থেকে দূরে সরে যেতে চান তিনি।
রাজ বলছেন, ‘দ্রুতই আইনজীবীর সঙ্গে বসব। সন্তান কার কাছে থাকবে, এ ব্যাপারে তিনি যে আইনি পরামর্শ দেবেন—সেটাই মেনে নেব।’
রাজ-পরী যে বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন, তা পরিষ্কার করেছেন দুজনই। আজ মঙ্গলবার ভোরে রাজের এক স্ট্যাটাসে তাদের সম্পর্কের ভাঙনকে আরও উসকে দেয়।
রাজ লিখেছে, ‘হ্যালো গডফাদারস অ্যান্ড গং। আই ওয়ান্ট টু নো ইউ গাইজ। আই লাইভ ইন ঢাকা, আই উড লাভ টু চিয়ার্স।’
রাজের এমন স্ট্যাটাসে বোঝা যাচ্ছে, আড়াল থেকে কোনো ‘গড ফাদার’র হুমকি পেয়েছেন বা পাচ্ছেন। সেই হুমকিদাতাদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে চান এই চিত্রনায়ক।
কে হুমকি দিচ্ছেন, জানতে চাইলে দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে পরাণের এই নায়ক বলেন, ‘আমি তো যা বলার বলেছি। এখন দেখার অপেক্ষায় আছি তাদের। পরে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলছি।’ বলেই ফোনটি কেটে দেন রাজ।
তবে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন পরীমনি। তার ভাষ্য, ‘রাতে (আজ ভোরে) আমার পাশে বসেই রাজ এই স্ট্যাটাস দেয়। আমি জানি না কে ওকে “হুমকি” দিচ্ছে। এটা ওই ভালো বলতে পারবে। মোবাইল হাতে নিয়ে যখন লিখছিল (ফেসবুক স্ট্যাটাস) আমি বারবার প্রশ্ন করছিলাম, কী করছ? মোবাইল হাতে নিয়ে ৫ মিনিট ধরে স্ট্যাটাসটি লিখেছে। কিছুক্ষণ নীরব থেকে রাজ বলল, “একটা স্ট্যাটাস দিচ্ছি। পরে দেখে নিও।” এরপর ওর স্ট্যাটাসটা দেখলাম। সকাল থেকে মানুষজন ফোন দিয়ে আমাকে পাগল বানিয়ে ফেলছে। আর রাজ আরামে ঘুমিয়ে আছে। বলেন কী বলব।’
পরীমনি আরও বলেন, ‘রাজকে তার স্ট্যাটাস সম্পর্কে যখন বললাম, তখন ও আমাকে বলে, “কিসের গড ফাদার, কিসের হুমকি! কে বলেছে এসব কথা!’ আমি তখন ওকে বলি, তুমিই তো ফেসবুকে বলেছ। রাজ বলে, “আমি বলছি, কী বল! আমাকে আবার হুমকি কে দেবে?” তখন আমি ওকে বললাম, সকাল থেকে সবাই ফোন করছে।’
আপনারা কি একসঙ্গে আছেন? উত্তরে পরী বলেন, ‘হ্যাঁ। আমি আমার বাসায় (বনানী) আছি। দুদিন পর রাতে ও (রাজ) বাসায় ফিরেছে।’
গেল দুদিন কোথায় ছিল জানতে চেয়েছেন কি না, জবাবে বিশ্বসুন্দরীর এই নায়িকা বলেন, ‘জানার মতো কোনো পরিস্থিতিতে ও ছিল না। এমন অবস্থায় বাসায় ফিরেছে তাকে প্রশ্ন করেও কোনো লাভ হয়নি।’
শ্বশুর-শাশুড়ি আপনাদের সঙ্গে আছে? উত্তরে পরীমনি বলেন, ‘না, তারা দুদিন থেকে চলে গেছে। আর তারা থেকে কী করবে। রাজ কারও কথাই শোনে না। নিজের ভালো নিজে না বুঝলে কেউ তাকে বোঝাতে পারবে না- এটাই বাস্তবতা। আসলে এসব বিষয়ে (ব্যক্তিগত) কথা বলতেও এখন আর ইচ্ছে করে না। আর বলেও লাভ নেই। আর মানুষের হাসির পাত্র হতে চাই না।’