হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনি ও শরিফুল রাজের ‘বিচ্ছেদ’র আনুষ্ঠানিকতা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। কারণ, ২০২৩ সালের শুরুর লগ্নেই স্পষ্ট- তাদের দাম্পত্য জীবন ভালো যাচ্ছে না। আর তা প্রকাশ্যে আনেন পরীমনি।
এ নিয়ে গেল ক’দিন ধরেই শোবিজ পাড়ায় চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। পরী অভিযোগ আনেন, স্বামী রাজ তার গায়ে হাত তুলতো। শুধু তাই নয়, পরী জানিয়ে দিয়েছেন- রাজ্য ও রাজের মঙ্গলের জন্যই তিনি আলাদা হয়ে গেছেন।
এদিকে ব্যক্তিজীবনের বিষয়গুলো নিয়ে খুব একটা কথা বলতে নারাজ রাজ। তারপরও তিনি বলেছেন, ‘আমি সরকারি চাকরি করি না। আমাকে ছুটি দেওয়ার কিছু নেই। দ্রুতই আইনজীবীর সঙ্গে বসব। সন্তান কার কাছে থাকবে, এ ব্যাপারে তিনি যে আইনি পরামর্শ দেবেন- সেটাই মেনে নেব।’
বিষয়টি এখানেই শেষ হতে পারত। কিন্তু আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টা ৪৮ মিনিটের দিকে রাজ তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। যেখানে প্রথমবার প্রকাশ করেছেন পরীকে নিয়ে তার নেতিবাচক অস্থিরতার বিষয়টি।
রাজ লিখেছেন, ‘হ্যালো গডফাদারস অ্যান্ড গং। আই ওয়ান্ট টু নো ইউ গাইজ। আই লাইভ ইন ঢাকা, আই উড লাভ টু চিয়ার্স।’
রাজের এমন পোস্টে স্পষ্ট, তিনি আড়াল থেকে কোনো ‘গড ফাদার’র কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন বা পাচ্ছেন। সেই উড়ো হুমকিদাতাদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে চান এই চিত্রনায়ক।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হলে দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে রাজ বলেন, ‘কথাগুলো যাদের বলেছি, তারা ঠিকই বুঝে গেছে। আমিও অপেক্ষায় আছি তাদের দেখার! হুমকি-ধামকি দিয়ে কোনো লাভ নেই। আমি এসবের তোয়াক্কা করি না। আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ। আর শান্তিপ্রিয় মানুষ খেপলে তাকে কিন্তু দমানো যায় না, মনে রাখবেন।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হয় পরীমনি ও শরিফুলের রাজের। প্রথম দেখা হওয়ার মাত্র সাত দিনের মাথায় বিয়ে করেছিলেন রাজ-পরী। এরপর ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তারা পারিবারিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। একই বছরের ১০ আগস্ট পুত্রসন্তানের মা হন পরী। যার নাম রেখেছেন শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।