আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর অবসর জীবন। গতকাল শনিবার বিচারপতি হিসেবে তার চাকরি জীবনের শেষ দিন ছিল।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর শেষ দিনের মতো অফিস করেন মোহাম্মদ ইমান আলী। ১৭ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট খোলা থাকলেও ওই দিন ছুটি নেন তিনি।
এরপর ১৯ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন ছুটি শুরু হয়। এখনও অবকাশকালীন ছুটি চলছে। এ ছাড়া ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালন করা হয়। সে হিসেবে ১৫ ডিসেম্বর শেষ দিনের মতো অফিস করেন তিনি।
এর আগে গত বছরের ২৮ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি চেয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন মোহাম্মদ ইমান আলী। আবেদনে লন্ডনে থাকা বৃদ্ধ মায়ের কাছে সময় কাটানোর কথা উল্লেখ করেন। এরপর ৮ মে বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে ইংল্যান্ডে যান তিনি।
২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে। এর পরদিন ৩১ ডিসেম্বর থেকে ছুটিতে যান জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। তার সে ছুটি ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু ছুটি শেষ হওয়ার আগেই নতুন ছুটির দরখাস্ত করেন তিনি। এরপর আর তিনি আপিল বিভাগে বসেননি।
এর আগে ২০১১ সালে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে বিচারক এবিএম খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হলে আপিল বিভাগের দুই বিচারক ছুটিতে যান। আর ২০১৮ সালেও একই কারণে পদত্যাগ করেন আরেক বিচারক।
জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর জন্ম ১৯৫৬ সালের ০১ জানুয়ারি। তিনি আইনে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জনের পর ব্যারিস্টার অ্যাট ল’ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালের ২১ জুন জেলা আদালত, ১৯৮২ সালের ১১ মে হাইকোর্ট বিভাগ ও ১৯৯৫ সালের ২১ আগস্ট আপিল বিভাগের বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
পরবর্তীকালে ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর একই বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে তিনি নিয়োগ পান।
২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন মোহাম্মদ ইমান আলী।