শনিবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন তিনি। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ সময় তাকে বিদায় জানান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফর সামনে রেখে শুক্রবার রাতে ঢাকা আসেন মমতা।
শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের আগে মমতার সঙ্গে আলোচনা সেরে নেন মোদী।
সোনারগাঁও হোটেলে ওই বৈঠক শেষে দুজন একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে রওনা হন।
সেখানে নরেন্দ্র মোদী, শেখ হাসিনা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ছিটমহল বিনিময়ে স্থল সীমান্ত চুক্তির অনুসমর্থনের দলিল বিনিময় হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর নিজ নিজ দেশের পক্ষে এসব দলিল হস্তান্তর করেন। এ সময় ওই চুক্তি বাস্তবায়নের কার্যপদ্ধতি সম্বলিত পত্রও বিনিময় করা হয়।
এছাড়া এ সময় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল ও দু্ই রুটে বাস চলাচলের বিষয়ে চারটি চুক্তিসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোট ১৯টি চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আগের রাতে ঢাকা এসে রেডিসন ব্লু হোটেলে উঠেছিলেন মমতা, যদিও নরেন্দ্র মোদী ও তার সফরসঙ্গীরা আছেন সোনারগাঁও হোটেলে।
চার বছর আগে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সফরসঙ্গীর তালিকা থেকে শেষ মুহূর্তে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন মমতা।
সব প্রস্তুতি থাকার পরও তার আপত্তির কারণে তখন আটকে যায় তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে দুই দেশের চুক্তি সই, যা এখনও হয়নি।
সাবেক কংগ্রেস নেত্রী মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস এক সময়ে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধলেও এখন তাদের সম্পর্ক অনেকটাই সাপে-নেউলে। বিজেপি নেতা মোদীর কঠোর সমালোচক তিনি।
এসব মিলিয়ে মমতা ঢাকা সফরে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আসছেন না বলে ভারতের গণমাধ্যমে কয়েকদিন আগেই খবর প্রকাশ হয়েছিল।
‘বাংলাদেশ সফরে মোদী তিস্তা চুক্তি নিয়ে কোনো কথা বলবেন না বলে আশ্বাস দিয়ে মমতাকে ঢাকা সফরে রাজি করিয়েছেন’ বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়।
২০১১ সালে মনমোহনের সফর এড়িয়ে গেলেও এই বছরই বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তখন বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান তিনি।
তিস্তা চুক্তির জট খোলার আশা ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হলেও এ বিষয়ে মমতার স্পষ্ট বক্তব্য এখনও আসেনি।