রাজশাহীতে তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৬ জন।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দিনের বিভিন্ন সময় চারঘাট, মোহনপুর ও নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৮টার দিকে চারঘাট উপজেলার তালতলা-বিশ্ববিদ্যালয় সড়ক দিয়ে একটি ভ্যান নওদাপাড়ার উদ্দেশে যাচ্ছিল। ভ্যানটি বাদাড়িয়া বাজারে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ভ্যানচালক মাজদার রহমানের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত মোটরসাইকেল আরোহী সিয়ামকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘণ্টাখানেক পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ভ্যানচালক মাজদার রহমান বাঘা উপজেলার হেলালপুর গ্রামের নইমুদ্দিন সরকারের ছেলে এবং মোটরসাইকেল আরোহী সিয়াম আহমেদ মতিহার এলাকার বুলবুল আলীর ছেলে। এ ঘটনায় ভ্যানের দুই যাত্রী আহত হয়েছেন।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম জানান, ভ্যান ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুই পরিবারের কারো অভিযোগ না থাকায় মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না।
এদিকে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম বাদশা জানান, সকালে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের হাটরা এলাকায় একটি অটোরিকশা যাত্রী নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। সে সময় একটি বালুভর্তি ট্রাক এসে অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আসাদুল ইসলাম (৩৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। আহত হন আরও চারজন। তাদের রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত আসাদুল হাটরা গ্রামের তজের মণ্ডলের ছেলে।
ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর চালক ট্রাক ফেলে পালিয়েছেন। আসাদুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অপরদিকে রাজশাহী নগরীতে একটি মাইক্রোবাস উল্টে গিয়ে আরও আটজন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৮টার দিকে একটি মাইক্রোবাস মহানগরীর কাদিরগঞ্জ গ্রেটার রোড মসজিদের দেয়ালে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এতে মাইক্রোবাসের আট যাত্রী আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। অন্য ছয়জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।