সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। যা দেশের সর্বনিম্ন।
আবহাওয়া অধিদফতর তথ্যানুযায়ী, গত বছর ১২ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ এর নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। এ বছর বুধবার ৯ ডিগ্রিতে নেমেছে তাপমাত্রা। অথচ গত বছর এ সময়ে ৮-এর ঘরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। তাপমাত্রা কমার কারণে তীব্র শীত অনুভব হচ্ছে। বিকেল ৪টার পর থেকেই বইতে থাকে উত্তরের হিমেল হাওয়া। শীতল হাওয়ায় নেমে আসে শীতের পারদ।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলাজুড়ে কুয়াশা আর শিশির ঝরতে দেখা যায়। গ্রামে শহরের হাটবাজারগুলোতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়। শীতবস্ত্রের অভাবে নিম্নবিত্তরা ফুটপাত থেকে গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছে। রাতে টিনের ঘরে টিপ টিপ বৃষ্টির মত পড়ছে ঘন কুয়াশা। সকাল বেলাদেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় দেখা যায় স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় যাচ্ছে হেঁটে হেঁটে। ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় নেই কোনো অটোরিকশা, ভ্যান।
কনকনে শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছে অনেকের। তবে পেটের তাগিদে কেউ নদীতে পাথর তুলতে, চা-বাগানে আবার অনেকেই দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে।
ঘন কুয়াশার মধ্যেই কাজে যাওয়ার সময় কথা হয় শ্রমিক মমিনুল, আরশেদ ও জুয়েলের সাথে। তারা জানান, করোনার পরিস্থিতির কারণে অভাব-অনটনে যাচ্ছে দিনকাল। তাই শীত উপেক্ষা করেই নদীতে পাথর তুলবেন। কাজ না করলে পরিবারকে থাকতে হবে অর্ধাহারে। এজন্যই কাজে বের হয়েছেন।
অটোরিকশা চালক আব্দুল করিম ও শাহআলম জানান, একদিকে তীব্র শীত, আরেকদিকে ঘন কুয়াশা। গাড়ি চালানো কষ্টকর হয়ে উঠেছে। যাত্রীও মিলছে না। আয় রোজগার কমে গেছে। আগের থেকে তেমন ভাড়া হচ্ছে না। এদিকে দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, তাপমাত্রা কমেছে। বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছর আজকের দিনে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।