বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আজ বুধবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবুজ পতাকা উড়িয়ে ও ফিতা কেটে নাম ফলক উন্মোচন করে মেট্রোরেল উদ্বোধন করে। এবার উদ্বোধনের পর টিকিট কেটে মেট্রোরেলে প্রথম যাত্রী হিসেবে চড়বেন প্রধানমন্ত্রী।দিয়াবাড়ি থেকে মেট্রোরেলে আগারগাঁও স্টেশনে আসবেন তিনি।
জানা যায়, মেট্রোরেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযাত্রী হবেন কৃষক, শ্রমিক, রিকশাচালক, গার্মেন্টস কর্মী, মেট্রোরেলের নির্মাণ শ্রমিক, মুক্তিযোদ্ধা, সব ধর্মের প্রতিনিধি, কূটনীতিক, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য এবং সংবাদকর্মীসহ অন্যান্যরা।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, মেট্রো রেল পুরোপুরি চালু হলে ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। ছয়টি কোচসংবলিত প্রতিটি একমুখী মেট্রো ট্রেন প্রতিবারে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩০৮ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। মেট্রো রেলে অল্প সময়ে অধিক সংখ্যায় যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হয়।
প্রথম ধাপে চলবে ১০ সেট ট্রেন। আরো দুই সেট ট্রেন প্রস্তুত থাকবে। মাঝের চার কোচের প্রতিটিতে যাত্রী ধারণক্ষমতা ৩৯০ জন। দুই পাশের ট্রেইলার কোচের (ইঞ্জিন) প্রতিটিতে সর্বোচ্চ যাত্রী ধারণক্ষমতা ৩৭৪ জন। নারী যাত্রীদের জন্য থাকছে আলাদা কোচের ব্যবস্থা।
মেট্রোরেল চালু হওয়ায় ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার কমবে। জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানির ব্যবহার বহুলাংশে কমে যাবে। ঢাকা মহানগরীর যাতায়াত ব্যবস্থায় ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ হবে। মহানগরবাসীর কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে। যানজট বহুলাংশে কমবে। যানজটের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে তা সাশ্রয় হবে।