চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের সব বন্দরে স্ক্রিনিং জোরদারসহ ছয়টি পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
আজ রোববার কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর কমিটির ৬১তম সভায় এসব সুপারিশের বিষয় উঠে আসে।
পরামর্শগুলো হলো:
১. করোনার বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা কমিটি (এনটিএসি) সবসময় পর্যালোচনা করছে এবং তাদের মতামত ও পরামর্শ সরকারের কাছে তুলে ধরছে।
২. সম্মুখ যোদ্ধা, ১৮ বছর ও তদুর্ধ্ব কোমরবিড (একাধিক রোগে ভুগছেন) রোগী এবং ৬০ বছর ঊর্ধ্ব সবাইকে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ/ চতুর্থ ডোজের টিকার চলমান ক্যাম্পেইনের আওয়াত আনার ব্যাপারে সবধরনের জনসংযোগ, প্রচার-প্রচারণা জোরদারের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. ফাইজার তাদের ৯ মাস মেয়াদি ভ্যাকসিনের মেয়াদ ১২ মাস এবং ১২ মাস মেয়াদি ভ্যাকসিনের মেয়াদ ১৫ মাস বাড়ানোর জন্য প্রজ্ঞাপন দিয়েছে, যা দেশে বিদ্যমান সব নিয়ম মেনে দেওয়া হচ্ছে বলে কমিটি মনে করে।
৪. দুর্বল এবং কোমরবিড রোগে আক্রান্ত সবাইকে করোনার সব স্বাস্থ্যবিধি যেমন মাস্ক পরা, হ্যান্ড স্যানিটাইজ ব্যবহার করা ইত্যাদি মেনে চলতে হবে।
৫. বিমান ও স্থলবন্দরগুলোতে বিশেষ করে চীন, জাপান, কোরিয়া, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত যাত্রীদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ থাকলে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনতে হবে।
৬. দেশের সব কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও অন্যান্য হাসপাতালগুলোকে কোভিডের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তুত রাখতে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন।