বকশীগঞ্জ (জামালপুর): সংবাদিকদের সঙ্গে ‘অশালীন আচরণ’ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে বকশীগঞ্জ থানায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আজ দুপুরে একটি ডাকাতির ঘটনার বক্তব্য নিতে থানায় যান স্থানীয় সাংবাদিকরা। এ সময় ওসি তরিকুল ইসলাম তাদের সঙ্গে ‘অশালীন আচরণ’ করেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের থানা থেকে বের হয়ে যেতে বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওসি বলেন, ‘সংবাদ লিখতে হলে ওসির অনুমতি নিতে হবে। আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি না। আপানারা থানা থেকে বের হয়ে যান। আপনাদের আমি কোনো বক্তব্য দেব না, যা পারেন করেন।’ একপর্যায়ে সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন ওসি।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবে সভাপতি ও ইত্তেফাকের প্রতিনিধি এম শাহীন আল আমীন, সাধারণ সম্পাদক কালেরকণ্ঠের আবদুল লতিফ লায়ন, যুগান্তরের সরওয়ার জামান রতন, তৃতীয় মাত্রার সরকার আবদুর রাজ্জাক, সমকালের মাসুদ উল হাসান, ভোরের দর্পনের মতিন রহমান, দেশের কণ্ঠে এম এ ছালাম মাহমুদ ও আজকের বসন্ধুরার মোহাম্মদ আসাদ।
ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা করেছে বকশীগঞ্জে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। সভায় ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সাংবাদিকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেওয়ানগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান রাসেল বলেন, ‘একজন সরকারি কর্মকর্তা শুধু সাংবাদিক কেন, সাধারণ মানুষের সাথেও অসদাচরণ করতে পারেন না। বিষয়টি আমি দেখব।’
উল্লেখ্য, বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমের বাসায় গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল বাসার সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের জন্য আমি ঢাকায় ছিলাম। গভীর রাতে ডাকাতদল আমার মা-বোনদের জিম্মি করে নগদ ২০ লাখ টাকা ও আনুমানিক ১২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।’