বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘এখন আর ঘরে বসে কেউ প্রোগ্রাম করতে চায় না, আমিও আসতে চাই না। কারণ মানুষ রাস্তায় নেমে গেছে সুতরাং রাস্তায় যেহেতু মানুষ নেমে গেছে, রাস্তায় যখন ফয়সালা হবে; রাস্তায় নামা ছাড়া যেহেতু বিকল্প পথ নেই সুতরাং যা করার রাস্তায় করতে হবে।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন গয়েশ্বর। ‘রিজভী আহমেদ এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষপট শীর্ষক’ আলোচনা সভার আয়োজন করে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিষ্ট এক্স স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েশন (রুনেসা)।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপির অফিসে যে তাণ্ডব করেছে এটা ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতাকে হার মানায়। বিএনপির অফিসের মধ্যে যে পরিমাণ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে এতে গ্যাসেই মানুষের মৃত্যু হওয়ার কথা।’
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘সব স্বৈরাচারকে হার মানিয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। তাই তাদেরকে স্বৈরাচার বলব, নাকি ফ্যাসিবাদী বলব, নাকি কর্তৃত্ববাদী বলব? কোন ভাষায় বললে তাদেরকে জনগণের সামনে তুলে ধরা যায়, বাংলা অভিধানে বা ইংরেজি ডিকশনারিতে কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।’
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বলা হয়েছে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আনা হয়েছে। তারপর একদিকে গোলাপবাগ মাঠের অনুমোদন পত্র ডা. জাহিদের হাতে হস্তান্তর, আরেক দিকে মামলা এন্ট্রি করে মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। মানে রসিকতার একটি সীমা থাকে, আইন ভঙ্গেরও একটি সীমা থাকে, নিয়ম ভঙ্গেরও একটি সীমা থাকে।’
তিনি বলেন, ‘আর মিথ্যা কথা বললেও অনেক সময় বিশ্বাসযোগ্য বলতে হয়, কিন্তু এই মিথ্যা কথা তো বিশ্বাসযোগ্য নয়। এটা অবিশ্বাস ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প ভাবনা মানুষের মধ্যে থাকতে পারে না। ’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকারকে ক্ষমতা রাখার জন্য যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয় তার পাল্টা জবাব যেটা দেওয়ার সেটাই দেব। যদি আমরা দেশটাকে মুক্ত করতে চাই, যদি আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে চাই। আমাদের লড়াইটা হচ্ছে আগাগোড়া গণতন্ত্রের।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের লড়াইয়ে আজকে যারা ত্যাগ স্বীকার করছে, জেল-জুলুম শিকার হচ্ছে এগুলো পরিশোধ করার একটাই বিষয়- এই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানো অর্থাৎ গণতন্ত্রকে পূর্ণ প্রবর্তন করা। একটাই কথা- হটাও ষড়যন্ত্র, ফেরাও গণতন্ত্র।’
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ বাহাউদ্দীন বাহারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মো. মোকাম্মেল কবিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুজ্জামান তপন, সহসভাপতি মমিনুল হক পিন্টু, সংগঠনিক সম্পাদক মতিয়ার রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব আলম ফরহাদ, ইউসুফ আলী মোল্লা, রবিউল আলম মন্টু, মিনহাজ উদ্দিন মানিক, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।