মালয়েশিয়ায় ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন বন্দী শিবিরে আটক রোহিঙ্গা নারীদের গণধর্ষণ করত তাঁদের আটককারীরা। মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমের বরাতে এএফপি এ খবর দিয়েছে। বন্দীশিবির থেকে বেঁচে আসা এক নারীর জানান, বন্দীশিবিরে আটক নারীদের প্রায় ক্যাম্প থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হতো। ওই নারী থাইল্যান্ডে পাদাং বেসারের কাছে একটি বন্দিশিবিরে আটক ছিলেন। এই নারী আরও বলেন, প্রতি রাতে নিরাপত্তারক্ষীরা তিন থেকে চারজন সুন্দরী রোহিঙ্গা নারীকে ক্যাম্প থেকে বের করে গোপন কোনো স্থানে নিয়ে যেত। সম্ভবত নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের গণধর্ষণ করত। এ রকম ঘটনার পর ক্যাম্পের দুজন নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল। কখনও কখনও তাঁদের বেশ কয়েক দিনের জন্য নিয়ে যাওয়া হতো। আমরা ওই সব নারীদের চিৎকার ও কান্নার আওয়াজ শুনতে পেতাম। কারণ তাঁদের যে জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করা হতো, তা ক্যাম্পের কাছেই ছিল। কিন্তু তখন রাত হওয়ায় কী হতো আমরা কিছু বুঝতে পারতাম না। ওই নারীর স্বামীও মালয়েশিয়ার সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের একাধিক ঘটনা দেখতে পাওয়া কথা বলেছেন।