শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এবং বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, গোলাপবাগ মাঠের সমাবেশে সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন।
এ দিকে শুক্রবার দুপুরে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর বিকেল থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন দলটির নেতাকর্মীরা। রাতেই প্রায় ভরে যায় গোলাপবাগ মাঠ। শনিবার ভোর হতেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন কর্মীরা। ইতোমধ্যে বিএনপি কর্মীদের উপস্থিতি মাঠ ছাড়িয়ে নেমেছে সড়কে। মিছিল আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।
তবে সমাবেশে আসার পথে পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ বিএনপির। কর্মীরা বলছেন, অকারণেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করা হচ্ছে। অনেকেই ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে। কেউ আবার হেঁটে সমাবেশে এসেছেন।
উল্লেখ্য, ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে সরকার ও বিএনপির মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলেও সরকারের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা যেকোনো মাঠে করার কথা বলা হয়। বিএনপি নয়াপল্টনেই সমাবেশ করতে অনড় অবস্থানে থাকে। এ নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনার মধ্যেই বুধবার বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে একজনের মৃত্যু এবং অনেকেই আহত হন।
এরপর বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাসহ অন্তত তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সংঘর্ষের পর থেকে নয়াপল্টন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে সমাবেশের স্থান নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের ফের বৈঠকে হয়। বৈঠকে বিএনপি কমলাপুর স্টেডিয়াম এবং ডিএমপির পক্ষ থেকে বাঙলা কলেজ মাঠের প্রস্তাব করা হয়। রাতেই বিএনপির পক্ষ থেকে এই দুই স্থানের যেকোনো একটির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে নতুন করে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের করতে চাইলে অনুমতি পায় বিএনপি।