নেইমারের গোলটা যখন এলো, ব্রাজিল শেষ চারে চলেই যাচ্ছে, মনে হচ্ছিল এমন। তবে তখনই অ্যান্টি-ক্লাইম্যাক্স হয়ে এলো ক্রোয়েশিয়ার গোলটা। ব্রুনো পেতকোভিচের গোলে সমতা ফেরায় ক্রোয়াটরা। সেই এক গোলেই ক্রোয়াটরা টাইব্রেকারে নিয়ে গেল ব্রাজিলকে।
শুরুর ৪৫ মিনিটে ব্রাজিল গোল পায়নি। দ্বিতীয় ৪৫ মিনিটে গোল না পেলেও সেলেসাওরা ফিরেছিল নিজেদের রূপে, মুহুর্মুহু আক্রমণে ভেঙেছে ক্রোয়াট রক্ষণ। তবে গোল না পাওয়ায় খেলাটা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
তবে অতিরিক্ত সময়ের ১০৪ মিনিটে এসে পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত ডিফেন্ডিং করা ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্সে ভাঙন ধরান নেইমার। বক্সের সামনে থেকে নেইমারের উদ্দেশ্যে বল ঠেলে দেওয়া হয়। সেই বল নেইমার দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একজন ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করেন। এতক্ষণ ব্রাজিলের সামনে প্রাচীর হয়ে দাড়ানো লিভাকোভিচ এসেছিলেন নেইমারকে রুখতে। নেইমার একটু ডানে সরে গিয়ে তাকেও পরাস্ত করে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠান। নেইমারের গোল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম, ‘ওলে ওলে ব্রাজিল ও ব্রাজিল’ গর্জন উঠে।
সেই গোলের পর মনেই হচ্ছিল, শেষ চারের রাস্তাটা বুঝি সেলেসাওদের দেখিয়েই দিলেন নেইমার। তবে সেটা হয়নি ১১৬ মিনিটে ব্রুনো পেতকোভিচের গোলে। সেই এক গোলে ব্রাজিলকে হতাশ করে খেলাটা টাইব্রেকারে নিয়ে যায় ক্রোয়াটরা।