এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ব্রাজিলিয়ান সমর্থকরা এসেছেন অনেক আগেভাগেই। গ্যালারীতে ঘণ্টাখানেক আগে প্রবেশ করে বাদ্য যন্ত্রে গানে মাতিয়ে তুলেছিলেন তারা। সমর্থকদের উদ্দীপনার ছাপটা মাঠে খুব বেশি ফেলতে পারেননি নেইমরারা। প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়ার কৌশলে এবং নিজেদের ব্যর্থতায় ব্রাজিল প্রথমার্ধে গোল বঞ্চিতই রয়েছে।
দ্বিতীয় রাউন্ডে দক্ষিণ কোরিয়াকে উড়িয়ে ব্রাজিল শেষ আটে উঠেছে। রাশিয়া বিশ্বকাপের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে এই ক্রোয়েশিয়ার অনেক পার্থক্য থাকলেও মদ্রিচের নেতৃত্বে দলটি এখনও প্রতিরোধে সক্ষম সেটিই প্রথম ৪৫ মিনিটে প্রমাণ হয়েছে। ক্রোয়েশিয়া নিজেদের অর্ধে ডিফেন্স করেছে সুযোগ পেলে কাউন্টার অ্যাটাকে গিয়েছে। দুই একটি গোলের সুযোগও করেছিল।
তিতের ব্রাজিল প্রথমার্ধে খুব একটা ছন্দময় ছিল না। বাম প্রান্ত দিয়ে খানিকটা আক্রমণের চেষ্টা ছিল। ভিনিসিয়াস ও নেইমারের বোঝাপড়ায় ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ দুই একবার ভেদ করলেও চূড়ান্ত সফলতা আসেনি। বল পজেশনে ব্রাজিল এগিয়ে ছিল ক্রোয়েশিয়ানদের চেয়ে। ব্রাজিলের প্রাণভোমরা নেইমার বল নিয়ে হালকা ঝলক দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তবে সেটা খুব বড় পার্থক্য গড়তে সক্ষম হয়নি। ব্রাজিলের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরো বক্সে দারুণ জায়গায় বল পেয়েছিলেন। তার শট গোল মুখে থাকলেও ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে কর্নার হয়।
ক্রোয়েশিয়া রক্ষণাত্মক খেলায় তাদের অর্ধে ব্রাজিল খেলেছে বেশি। এতে মাঝে মধ্যে বক্সের আশেপাশে ফাউলও হয়েছে। সেই ফাউল থেকে নেইমরাররা গোল আদায় করতে পারেননি। দ্রুত গতির কাউন্টার অ্যাটাকে ক্রোয়েশিয়ানদের ঠেকাতে গিয়ে ব্রাজিলও ফাউল করেছে। ক্রোয়াট অধিনায়ক মদ্রিচের নেয়া বক্সের একটু বাইরে থেকে নেয়া শট অবশ্য ব্রাজিল শিবিরে ভীতির সঞ্চার করতে পারেনি। প্রথমার্ধে দুই দলই একটি করে হলুদ কার্ড দেখেছে যদিও ইনজুরি সময় দেখানো হয়েছে মাত্র ১ মিনিট।