আজ মাঠে নামছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা, প্রতিপক্ষ রাশিয়া বিশ্বকাপের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। ‘হেক্সা’ মিশন পরিপূর্ণ করতে জয়ের বিকল্প নেই সেলেসাওদের সামনে, ক্রোয়াটদের ডিঙাতেই হবে শেষ আটের লড়াইয়ে।
আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে লড়াই। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।
একমাত্র দল হিসেবে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরেই খেলেছে ব্রাজিল। যার শেষ আট বিশ্বকাপেই অন্তত কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সেলেসাওরা। এর মাঝে ১৯৯৪ ও ২০০২ সালে শিরোপা ঘরে তোলে তারা। ১৯৯৮ সালে হয়েছিল রানার্সআপ আর ২০১৪ সালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে পরাজিত হয়ে সেমিফাইনালেই থামে ব্রাজিলের দৌঁড়।
বিপরীতে এই নিয়ে বিশ্বকাপের মাত্র ষষ্ঠ আসর খেলছে ক্রোয়েশিয়া। বিশ্ব সেরার মঞ্চে তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য গত রাশিয়া বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়া। যেখানে ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ৪-২ গোলে হেরে যায় তারা। বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার শেষ ১১ ম্যাচে যা একমাত্র পরাজয়। অর্থাৎ বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বশেষ ১১ ম্যাচের ১০টিতে অপরাজিত ক্রোয়েশিয়া।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই পর্ব থেকে অপরাজিত থেকেই বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করে ব্রাজিল। কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম দু‘ম্যাচ জয় পায় সেলেসাওরা। তবে শেষ ম্যাচে এসে ক্যামেরুনের বিপক্ষে হেরে যায় তারা। বিপরীতে গ্রুপ পর্বের প্রথম দু‘ম্যাচে মরক্কো ও বেলজিয়ামের বিপক্ষে ড্র করে ক্রোয়েশিয়া। একমাত্র জয়ের মুখ দেখে কানাডাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে।
শেষ ষোলতে অবশ্য জাপানের বিপক্ষে দুই ঘণ্টা লড়াইয়ের পর ১-১ গোলে ড্র করে ক্রোয়েশিয়া। যা নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে, যেখানে ৩-১ গোলে জেতে ক্রোয়াটরা। যার ফলে বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবে তারাই পরপর তিনটি পেনাল্টি শ্যুট আউটে জিতেছে। অন্যদিকে শেষ ষোলোতে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ব্রাজিল।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলে তিন ম্যাচেই জয়ের দেখা পায় ব্রাজিল, অন্য ম্যাচটি ড্র হয়। অর্থাৎ ব্রাজিলের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ নেই ক্রোয়েশিয়ার। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত উভয় দল মুখোমুখি হয়েছে দুবার। ২০০৬ বিশ্বকাপে প্রথম দেখায় কাকার একমাত্র গোলে ক্রোয়াটদের হারায় ব্রাজিল। আর ২০১৪ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হয় ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া। নেইমারের জোড়া গোলে ব্রাজিল ৩-১ গোলে হারায় ক্রোয়েশিয়াকে।
আজো যদি নেইমার জোড়া গোল করেন, তবে অনন্য এক কীর্তির মালিক হবেন। পেলেকে ছাড়িয়ে ব্রাজিলের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক এ পরিণত হবেন নেইমার। আর একটি গোল করলে বসে যাবেন পেলের পাশে। এই মুহূর্তে নেইমারের গোল সংখ্যা ৭৬। ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোল পেলের, ৭৭টি।