‘ভয় দেখানোর আর কোনো সুযোগ নেই’

Slider নারী ও শিশু

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী বেগম আফরোজা আব্বাস বলেছেন, ভয় দেখানোর আর কোনো সুযোগ নেই।

ডিবি পরিচয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে আসা প্রসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, বিএনপির এই শীর্ষ ২ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘এমনিতে প্রতিদিন বাসা ঘিরেই রাখে। কাল রাতে নেতাকর্মীরা বের হয়ে যাওয়ার পরে ১৫ থেকে ১৬ জন ডিবি পরিচয়ে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। তারা মির্জা আব্বাসকে বলে আপনাকে আমাদের সঙ্গে যেতে হবে। আমি ঘুমিয়েছিলাম, আমাকে ডাকল। আমি প্রথমে বিশ্বাস করিনি।

‘আমাকেও বললো, উনাকে (মির্জা আব্বাস) নিয়ে যাব, উনার সঙ্গে কথা আছে। কথা বলে আমরা আবার দিয়ে যাব। আমি বললাম, দিয়ে যাবেন তাহলে এখানেই কথা বলেন। তখন বললো, না আমাদের সঙ্গে অফিসে যেতে হবে।’

আফরোজা আব্বাস আরও বলেন, ‘সব মামলায় তিনি জামিনে আছেন। তবে সরকার যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে পারে, নতুন মামলা দিতে পারে। বিশ্বাস করা যায় না, সবই সম্ভব ওদের পক্ষে।’

তিনি বলেন, ‘মির্জা আব্বাসকে নিয়ে গেছে নেতাকর্মীদের ভয় দেখাতে। ভয় তো পাবে না। আমাদের চেয়ারপারসনকে নিয়ে গেছে অবৈধভাবে। ভয় দেখানোর আর কোনো সুযোগ নেই, ভয় পাওয়ারও আর কোনো সুযোগ নেই, প্রোগ্রাম হবেই।’

মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, ‘উনি (মির্জা ফখরুল) কাল বেশি রাতেই বাসায় এসেছেন। শরীর বেশ খারাপ। এসেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন। যে কাপড়-চোপড় পরেছিলেন, সেভাবেই। রাত ৩টায় ৪ জন উপরে এসেছিল আর ৪ জন নিচে ছিল। তারা বললো, তাকে (মির্জা ফখরুল) নিয়ে যাবে। আমি প্রশ্ন করেছিলাম, আপনারা যে এসেছেন, কেন এসেছেন? তারা বলেছেন, উপরের নির্দেশে এসেছি। উপরের নির্দেশে নিয়ে যাচ্ছি। কার নির্দেশে নিয়ে যাচ্ছে এটা তো বলেনি। রাত সাড়ে ৩টার মধ্যে তারা বের হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘রাত ১০টা থেকে ৪-৫টা গাড়ি নিয়ে নাকি তারা টহল দিচ্ছিল বলে আমি শুনেছি। আগে থেকেই হয়তো গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা তাদের ছিল। দরজা খুলতে চাচ্ছিল না জন্য নিচে যারা ছিল তাদের চড়-থাপ্পড় দিয়েছে, আমি পরে শুনেছি। তবে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি। গ্রেপ্তারের সময় রাস্তার লাইট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।’

নিয়ে যাওয়ার পরে তারা ওষুধ নিতে এসেছিল বলেও উল্লেখ করেন রাহাত আরা বেগম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *