রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিনা উস্কানিতে পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং আটক নেতাকর্মীদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জোটের শীর্ষ নেতারা এ দাবি জানান।
বিবৃতি বলা হয়, ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আগত নেতাকর্মীদের উপস্থিতি একটি অতি সাধারণ ও স্বাভাবিক বিষয় ছিল। কিন্তু সেখানে অতর্কিত পুলিশী অভিযান, লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ এবং গুলি চালানোর মতো বর্বোরোচিত আক্রমণ দেশবাসী এবং পুরো দুনিয়ার মানুষকে হতবাক করে দিয়েছে।
নেতারা এ ঘটনায় একজন নিহত ও অসংখ্য আহত এবং চার শতাধিক নেতাকর্মীকে দলীয় কার্যালয়ের ভিতর থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে গ্রেফতার করার অভিযোগ করে বলেন, এটি একটি সভ্য ও গণতান্ত্রিক দেশের নিয়মবিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
নেতৃবৃন্দ এই ঘটনাকে সমাবেশ বানচাল করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের একটি অংশ উল্লেখ করে বলেন, যে সরকার বিরোধী দলের একটি সাধারণ সমাবেশ অনুষ্ঠান মেনে নিতে পারে না, সেই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে কিভাবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব সেটাই বিবেচ্য বিষয়। সরকারের অসহিষ্ণু মনোভাব ও আক্রমণাত্মক আচরণই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের যৌক্তিকতা প্রমাণ করে।
তারা অবিলম্বে বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং ১০ তারিখে নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত সরকারকে মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার (জাফর), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব: সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম।