রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির ৪৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ১১ জনের সাত দিনের রিমান্ড এবং ৪৩৯ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এসআই জাহিদুল আলম।
কারাগারে আটক রাখা আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- রুহুল কবীর রিজভী, আমান উল্লাহ আমান, আ. ছালাম, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ফজলুল হক মিলন, খাইরুল কবীরর খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল, সেলিমুজ্জামান সেলিম।
রিমান্ড আবেদন হওয়া আসামিরা হলেন- সখিপুর থানা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. শাহজাহান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য একেএম আমিনুল ইসলাম, বিএমপির সাবেক যাগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদ, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সজিব ভুইয়া, শ্রীপুর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন, ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদ ইকবাল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান শরিফ, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সদস্যসচিব মো. আল আমিন, রমনা থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল, বাংলা কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ ফরাজী ও ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদুল হাসান রনি।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। পল্টন থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ আলম এসব তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে চাল, পানি, খিচুরি ও নগদ টাকা পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ।
অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করে। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দেড় থেকে দুই হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।