ঢাকা: ভয়াবহ দুই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠার মাসাধিককাল পর হিমালয়কন্যা নেপালে আবার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার (৩১ মে) দেশটির কয়েক হাজার স্কুল একযোগে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
ভূমিকম্পে দেশটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলো আংশিক অথবা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ায় অস্থায়ী শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবামাধ্যমের খবরে জানানো হয়। কিছু কিছু স্কুলের প্রাঙ্গনে বাঁশ দিয়ে শ্রেণিকক্ষ তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ২৫ এপ্রিল ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নেপাল। এর ১৭ দিনের মাথায় গত ১২ মে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে ওঠে দেশটি। এছাড়া মূল দুই ভূমিকম্প ছাড়াও দেশটিতে তিন শতাধিক পরাঘাতের খবর পাওয়া গেছে। আতঙ্কে বেশিরভাগ নাগরিক খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে।
দুই প্রাণঘাতি ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত সাড়ে আট হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানীর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে অন্তত ২০ হাজার মানুষ। সেই সঙ্গে আংশিক অথবা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে কমপক্ষে তিন লাখ বাড়িঘর ও ভবন। গৃহহীন হয়ে পড়েছে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ।
নেপালের শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন আংশিক অথবা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। যে কয়টা এখনও টিকে আছে, সেগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ।
এরই প্রেক্ষিতে অস্থায়ীভাবে শেণিকক্ষ নির্মাণ করে পাঠদান কর্মসূচি চালুর নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এসময় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর গায়ে লাল রং ও নিরাপদ ভবনগুলোর গায়ে সবুজ রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি থেকে পুষিয়ে উঠতে ও দেশ পুনর্গঠনে সাতশ কোটি ডলারের একটি বাজেট ধার্য করেছে নেপাল সরকার।