রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে অসংখ্য বোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানান তিনি।
বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, সেফটি ও সিকিউরিটিকে যারা নষ্ট করতে চায়, তাদের কোনোভাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ ছাড় দেবে না। এরই অংশ হিসেবে আমরা যখন দেখলাম, জনগণের জানমালের জন্য হুমকিস্বরূপ কার্যক্রম হচ্ছে নয়াপল্টন এলাকায় এবং পুলিশের ওপর হামলা ও বোমা নিক্ষেপ হয়েছে, তখন আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি।
তিনি বলেন, অভিযানে নয়াপল্টন থেকে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করেছি। অসংখ্য সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়া অসংখ্য বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে গ্রেপ্তারের সংখ্যা বলা যাবে না, আমরা এখন অ্যাকশনে আছি। তবে গ্রেপ্তার অনেক।
বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছেন কি না- জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বলেন, তারা এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
এর আগে ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ সামনে রেখে গত দুই দিনের মতো আজও নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার পক্ষে স্লোগান দেন তারা। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রায়টকার দিয়ে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
অন্যদিকে স্লোগান দিয়ে পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে ফকিরাপুল মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের ছোড়া অসংখ্য টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ে দলীয় কার্যালয় ও এর আশপাশ এলাকা।