ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশের স্থান নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার বিষয়ে সমঝোতা হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের নতুন হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিএনপির সমাবেশস্থল নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিয়ে সরকারের সঙ্গে এখনো সমঝোতা হয়নি—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘(সমঝোতা) হয়ে যাবে। বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে মেঘ, ঘন মেঘ ঘনীভূত হয়, আবার চট করে চলে যায়।’
সমঝোতার নিয়ে আপনি আশাবাদী কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি চিরন্তন আশাবাদী মানুষ। আমি এ ব্যাপারেও আশাবাদী।’
বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে, নাকি সরকার আরামবাগে অনুমতি দেবে—এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যেটাই হোক, একটা সমাধান হবে।’
কাদের বলেন, ‘জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। দলের পক্ষ থেকে আমি বলতে চাই, আমরা সরকারে আছি, কেন দেশের অশান্তি চাইব? আমরা কেন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, এমন কাজ করব? দরকার তো নেই।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখন যদি আতঙ্কের বা এখানে আক্রমণ করা হয়, যদি উসকানি দেওয়া হয়, আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে, আমরা চুপ করে বসে থাকব? আশা করছি, বিরোধীদল শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবে। দলীয়ভাবে আমরা তাদের সঙ্গে কখনো সংঘাত সৃষ্টি করিনি। এখন আমরা সংঘাত চাই না।’
ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি প্রথম এসেছেন, এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ। এর ভেতরেও আমরা সবকিছু আলোচনা করেছি। সড়ক যোগাযোগ নিয়ে আমাদের কিছু প্রকল্প আছে। সেগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন।’
বাংলাদেশে কেমন নির্বাচন দেখতে চায় ভারত—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এসব কিছু নিয়ে কথা হয়নি। অহেতুক আমি মিথ্যা কথা বলব কেন? তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি বলেছি যে, বিরোধীদল আন্দোলন করছে। তারা সরকারের পদত্যাগ চাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচন করবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১০ ডিসেম্বরে বিএনপির মহাসমাবেশ নিয়েও কথা হয়েছে। সমাবেশের স্থান নিয়ে বিএনপি অনড়, তা জানিয়েছি।’