আজ থেকেই শুরু হচ্ছে কাতার বিশ্বকাপের নক আউট পর্বের খেলা। নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ দিয়েই এবারের শেষ ষোল পর্বের পর্দা উঠছে।
শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় কাতারের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে।
এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে কোনোদলই তিন ম্যাচেই জয় নিয়ে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেনি। তবে কিছু দল কোনো ম্যাচ না হেরেই গ্রুপ পর্ব থেকে রাউন্ড অব সিক্সটিনে এসেছে। নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের মধ্যে অন্যতম।
গত বিশ্বকাপে না থাকা নেদারল্যান্ডস এবারের শুরুটা করেছে দারুণভাবে। সেনেগাল ও স্বাগতিক কাতারের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয় আছে ডাচদের। ইকুয়েডরের বিপক্ষের ম্যাচটি ড্র করে দ্যা অরেঞ্জরা।
বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের শুরুটাও একেবারে খারাপ বলা যায় না। ওয়েলস ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করেছিল আমেরিকানরা। শেষ ম্যাচে ইরানের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানের জয় পায় তারা। জয়সূচক গোলটি করেন ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে দলের হয়ে গোলটি করেন চেলসির এই তারকা ফুটবলার।
এই বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের খেলোয়াড়রা আছেন দারুণ ছন্দে। কোডি গাকপো ও ডেভি ক্লাসের মতো খেলোয়াড় থাকা নেদারল্যান্ডসের জন্য বাড়তি প্লাস পয়েন্ট। গ্রুপ পর্বে গোটা বিশ্ব দেখেছে কোডি গাকপোর পারফরম্যান্স। এছাড়াও দলে রয়েছেন মেম্ফিস ডিপাই ও ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং এর মতোন খেলোয়াড়। আর ডিফেন্সে ভার্জিল ভ্যান ডাইক তো আছেনই।
তবে আমেরিকানরাও কম যায় না। গ্রুপ পর্বে মাত্র একটি গোল হজম করে তারা, সেটিও পেনাল্টি থাকে। আর্সেনালের গোলকিপার ম্যাট টার্নারের ফর্ম তাই বাড়তি সুবিধা দিবে আমেরিকানদের। এছাড়াও দলে রয়েছেন ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ, জোশ সার্জেন্ট ও টিমোথি ওয়েহ।
নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত মোট পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে। তবে সবগুলোই ছিল প্রীতি ম্যাচ। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে এবারই দু’দলের প্রথম দেখা। প্রথম চারবার জয় পেয়েছে ডাচরা, তবে ২০১৬ সালে দু’দলের শেষ দেখায় ৪-৩ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল আমেরিকানরা।
এছাড়াও ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে হারের পর থেকে অ-ইউরোপীয় দলের বিপক্ষে ১৬ ম্যাচে অপরাজিত আছে ডাচরা। বিপরীতে ২০০২ বিশ্বকাপে পর্তুগালের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে হারের পর ইউরোপীয় দলের বিপক্ষে ১১ ম্যাচে জয়হীন আমেরিকানরা। এই পরিসংখ্যান তাই বাড়তি শক্তি জোগাবে ডাচদের।
আমেরিকাও তাদের গোল্ডেন জেনারেশনকে নিয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত। তবে মাঠের খেলায় যেই জিতুক না কেন, কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের মুখোমুখি হতে হবে আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে জয়ী দলের বিপক্ষে। রাতের অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া।