২-০ গোলে ঘানার বিপক্ষে জয় পেয়েছে উরুগুয়ে। ম্যাচের প্রথমার্ধেই উরুগুয়ের হয়ে দুটি গোল করেছেন জর্জিয়ান ডি অ্যারাসকায়েতা।
এইচ গ্রুপ থেকে নকআউট পর্ব আগেই নিশ্চিত হয়েছে পর্তুগালের। অবশিষ্ট একটি স্থানের জন্য আজ লড়েছে বাকি ৩ দল। আল জানুব স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ঘানা ও উরুগুয়ে। কিন্তু পর্তুগালের বিপক্ষে দক্ষিণ কোরিয়া জিতে যাওয়ায় নক আউট নিশ্চিত হয়ে তাদেরই। বাদ পড়েছে ঘানা ও উরুগুয়ে দু’টি দলই।
ম্যাচের ১৭ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ঘানা। ভিএআর চেকের পর উরুগুয়ের বিরুদ্ধে পেনাল্টি পেয়েছিল দলটি। কিন্তু স্পটকিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন আন্দ্রে এইয়ু। আন্দ্রে এইয়ুর শট রুখে দেন উরুগুয়ের গোলকিপার সার্জিও রচেট।
ঘানা সুযোগ মিস করলেও কোনো সুযোগ হাতছাড়া করেনি উরুগুয়ে। ম্যাচের ২৬ মিনিটের মাথায় এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম গোলটি পেয়ে যায় উরুগুয়ানরা। সুয়ারেজের লো শট ঘানার গোলকিপার আন্তি-জিগি আটকে দিলেও বল বাউন্স করে একটু উপরে উঠে গেলে বলে পা ছুঁইয়ে গোল করেন জর্জিয়ান ডি অ্যারাসকায়েতা।
৩২ মিনিটের মাথায় ম্যাচের এবং নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন অ্যারাসকায়েতা। ফাকুন্দো পেলেস্ত্রি বল দেন ডারউইন নুনেজকে, তিনি বল দেন লুইস সুয়ারেজকে। তার কাছ থেকে বল পেয়ে লো ক্রসে বল জালে জড়ান অ্যারাসকায়েতা।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফেরার চেষ্টা করে ঘানা। কিন্তু ৫৯ মিনিটের মাথায় ঘানার খেলোয়াড় ড্যানিয়েল অ্যামার্তে ডারউইন নুনেজকে ফাউল করে বসলে উরুগুয়ের পেনাল্টি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। অবশ্য ভিএআর চেকিংয়ের পরে ডিবক্সে ফাউল প্রমাণিত না হওয়ায় পেনাল্টি দেয়া হয়নি।
৭০ মিনিটের মাথায় লং রেঞ্জ থেকে একটি শট নিয়েছিলেন উরুগুয়ের ফেদ্রিকো ভালভার্দে। অবশ্য সেই শটটি আটকে ভালো সেভ দেন ঘানার গোলকিপার অ্যান্তি-জিগি।
৮১ মিনিট সময়ে পালটা আক্রমণে যায় ঘানা। বাবা রহমানের কাছ থেকে বল নিয়ে গোলবার বরাবর লক্ষ্য করে শট নেন মোহাম্মদ কুদুস। গোল ঠেকিয়ে দেন দারুণ সেভ করেন উরুগুইয়ান কিপার রচেট।
ম্যাচের অতিরিক্ত শেষ ১০ মিনিটে দুদলই একে অপরের ওপর চড়াও হয়। কিন্তু কেউই কারো গোলবারে আর লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ফলে এই ম্যাচের দুটো দলই আজ বাড়ির পথ ধরল।
আজ জিতলেই শেষ ষোল নিশ্চিত হতো ঘানার। অন্যদিকে উরুগুয়ে জিতলে তাদেরও সুযোগ থাকত পরের রাউন্ডে যাওয়ার, যদি অপর ম্যাচে পর্তুগালের কাছে দক্ষিণ কোরিয়া হেরে যেত। কিন্তু পর্তুগালের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতে যাওয়ায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পর্তুগাল ও দ্বিতীয় স্থানে থেকে দক্ষিণ কোরিয়া নক আউটের টিকিট নিশ্চিত করল।