হেক্সা মিশনে কাতার বিশ্বকাপের শুরুটা দারুণ হয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের। টানা দুই ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে। তাই, গ্রুপের শেষ ম্যাচে নিজেদের আরেকবার পরখ করে দেখার সুযোগ পাচ্ছে দলটি।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) লুসাইল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ক্যামেরুনের বিপক্ষে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হওয়ায় ক্যামেরুনের বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়মরক্ষার হিসেবেই দেখছে সেলেসাওরা। দ্বিতীয় রাউন্ডের আগে দলের সেরা তারকা নেইমারের মতো চোট যাতে আর অন্য কোনও খেলোয়াড়ের না লাগে তাই এই ম্যাচটিতে নতুনদের বেশি করে সুযোগ দেয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে।
ক্যামেরুনের বিপক্ষে রদ্রিগো কিংবা গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির মতো ফুটবলাররা তাদের প্রথম বিশ্বকাপে শুরুর একাদশেই মাঠে নামতে পারে। আবার আগের দু’ম্যাচে খেলতে না পারলেও ৩৯ বছর বয়সী দানি আলভেজ এই ম্যাচে ব্রাজিলের নেতৃত্ব দেবেন বলে আগেই জানানো হয়েছে।
বিশ্বকাপে ব্রাজিল ও ক্যামেরুন মুখোমুখি হয়েছিল ২বার। ১৯৯৪ সালের বিশ্ব আসরে গ্রুপ পর্বে প্রথম ক্যামেরুনের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল। সেখানে ৩ গোলে আফ্রিকার দেশটিকে উড়িয়ে দেয় সেলেসাওরা। সেদিন ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন মারিও, মার্সিও স্যান্টোস ও বেবেতো।
দ্বিতীয়বার ২০ বছর পর ২০১৪ বিশ্বকাপে আবারও গ্রুপ পর্বে ক্যামেরুনের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল। নেইমারের জোড়া গোল ও ফ্রেদ, ফার্নান্দিনহোর গোলে সে ম্যাচে ৪-১ ব্যবধানের জয় পায় ব্রাজিল। এরপর আর বিশ্বকাপে দেখা হয়নি দু’দলের।
বিশ্বকাপ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্রাজিল ও ক্যামেরুনে ৬ বার মুখোমুখি হয়। যেখানে সেলেসাওরা ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের শেষ আটে খেলার পর আর কখনও নকআউট পর্বে উঠতে পারেনি ক্যামেরুন।
২০০২ আসরে সৌদি আরবকে হারানোর পর থেকে বিশ্বকাপে তাদের কোনো জয় নেই। ২০১০ ও ২০১৪ আসরে গ্রুপ পর্বে সবগুলো ম্যাচই হারে তারা। ২০০৬ ও ২০১৮ আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি দলটি।
দু’দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে ক্যামেরুনের একমাত্র জয় ২০০৩ সালের ফিফা কনফেডারেশন কাপে। দল দুটির সবশেষ দেখায় ২০১৮ সালে প্রীতি ম্যাচে রিচার্লিসনের একমাত্র গোলে জয় পায় ব্রাজিল।
সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ব্রাজিল ৬ ম্যাচে ক্যামেরুনের জালে মোট ১২ গোল করে হজম করেছে স্রেফ ১ গোল। বুঝাই যাচ্ছে, দু’দলের দ্বৈরথে ঠিক কতটা এগিয়ে আছে সেলেসাওরা।