অবিশ্বাস্য! অবিশ্বাস্য! অবিশ্বাস্য! জাপানের নামের পাশে যতবার বলা হবে, যেন কম হয়ে যাবে। শুরুতেই পিছিয়ে পড়া দলটা এভাবে ঘুরে দাঁড়াবে কে জানতো। ব্লু সামুরাইর দেশ তেনমটিই করে দেখাল। শক্তিশালী স্পেনের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেছে ২–১ গোলে। এই জয়ে জাপান শেষ ষোলোর পাশাপাশি গ্রুপ চ্যাম্পিয়নও হওয়াও নিশ্চিত করেছে।
তবে হেরেও রানার্সআপ হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে স্পেন। তবে গ্রুপের অন্য শক্তিশালী দল জার্মানির বিদায় ঠিকই নিশ্চিত হয়েছে। সম্ভাবনা জাগালেও কোস্টারিকাও দেশে ফিরে যাচ্চে।
কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে মাঠে নামে স্পেন। যেখানে আলভারো মোরাতার গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে লা রোহারা।
বৃহস্পতিবার রাতে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে সমীকরণ ছিল ম্যাচ ড্র করলেই শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত হয়ে যাবে স্পেনের। আর নকআউটের সম্ভাবনায় থাকতে জাপানকেও অন্তত হার এড়াতে হবে। তবে স্পেন হারলেও জার্মানি-কোস্টারিকা ম্যাচ তাদের সহায়তা করে। জার্মানি কোস্টারিকাকে ৪-২ গোলে হারায়।
এদিন ম্যাচের শুরুতে অবশ্য এগিয়ে যেতে পারতো জাপান। সার্জিও বুসকেতসের ভুলে অষ্টম মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে জুনিয়া ইতোর শট লাগে পাশের জালে। তবে ১১তম মিনিটে স্পেনকে দলকে এগিয়ে নেন মোরাতা। সেসার আসপিলিকুয়েতার ক্রসে ছয় গজ বক্সে লাফিয়ে হেডে গোলটি করেন আতলেতিকো মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড।
তবে বিরতির পর স্পেনকে ৩ মিনিটের ব্যবধানে চমকে দেয় জাপান। ৪৮তম মিনিটে প্রথম গোলটি দেয় এশিয়ান জায়ান্টরা। স্প্যানিশ ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়ে ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে বুলেট গতির শট নেন রিতসু দোয়ান। বলে হাত লাগিয়েও সেটিকে বাইরে পাঠাতে পারেননি উনাই সিমন। বলের গতিতে পরাস্ত হন স্প্যানিশ গোলরক্ষক।
তিন মিনিট পরে দারুণ এক আক্রমণে স্প্যানিশ ডিফেন্সে ঢুকে বল পাস দেন দোয়ান। সেই বল কাট ব্যাক করে আও তানাকার কাছে পাঠান কারোরু মিতোমা। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তানাকা। তবে মিতোমা বল কাট ব্যাক করার আগে বল গোললাইন পেরিয়েছে কি না, এমন সন্দেহ হওয়ায় ভিএআরের সাহায্য নেন রেফারি। তবে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটি জাপানের পক্ষে যায় এবং ম্যাচে লিড নেয় জাপান।
ম্যাচের বাকি সময় ম্যাচ জিততে মরিয়া স্পেন বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হয়। ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল জাপানও। তবে তারাও আর গোল পায়নি। তাতে কি দুর্দান্ত এক জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে গেল দলটি।