অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে ফ্রান্সে ঔপনিবেশিকতা শুরু আফ্রিকাজুড়ে। বিশেষ করে উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো ছিল তাদের দখলে। এরপর ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে শেষ হতে শুরু ফরাসিদের আফ্রিকান রাজত্ব।
প্রচুর মানুষ হত্যা করেছে তারা। নির্বাসনে পাঠিয়েছে হাজার হাজার মুসলমানকে। এই দখলদারিত্বের সুবাদে অবশ্য এই অঞ্চলের বিপুল পরিমাণ মানুষের ফ্রান্স গিয়ে থাকার সুযোগ হচ্ছে। পরবর্তীকালে তারা আরো অনেককে দিয়েছে রাজনৈতিক আশ্রয়। যার সূত্র ধরে এখন ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দলে একাধিক আফ্রিকান ফুটবলারের উপস্থিতি।
তবে ফুটবলের মাধ্যমে এখন সেই আধিপত্যবাদিতার জবাব দিচ্ছে আফ্রিকান দেশগুলো। এ নিয়ে ফ্রান্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের খেতাব নিয়ে দুইবার হারলো আফ্রিকান দেশের কাছে। ২০০২ সালের জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্স খেলতে এসেছিল ১৯৯৮ সালে নিজ মাঠে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব নিয়ে। তবে তাদের প্রথম ম্যাচেই হারিয়ে দেয় সেনেগাল।
সেনেগালিজদের ১-০ গোলে জয়টা ছিল তাদের দেশ দখলে রাখার বদলাও। সেই হারের জের ধরেই জাপান-কোরিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়। ফ্রান্সের বিপক্ষে গোল করা সেই পাপা বাউবা দিয়ফ অবশ্য গত বছর ক্যান্সারে মারা গেছেন।
এবার সেই বিশ্বকাপে আবার আরেক আফ্রিকান দেশ তিউনিসিয়ার কাছে হেরেছে ফ্রান্স। পরশু রাতে যদিও ফ্রান্স রিজার্ভ বেঞ্চের দল নিয়েই মাঠে নামে। শেষ দিকে এমবাপ্পে, গ্রিজম্যান, দেম্বেলেদের নামিয়ে হার এড়াতে পারেনি। আগেই খাজরির গোলে তিউনিশিয়া যে লিড নেয় তা শেষবাঁশি পর্যন্ত অব্যগত ছিল। ১-০ গোলের এই জয়ে আফ্রিকান দেশটি দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করতে না পারলেও প্রতিশোধ নিয়েছে ৭৪ বছর ফরাসিদের দখলে থাকা যাতনার। এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে তিউনিসিয়ানদের ফ্রান্সকে নিয়ে ব্যঙ্গ করতেই দেখা গেছে।