ফরিদপুর: ফরিদপুরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে পুলিশের সামনে হামলা চালিয়েছে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আজ বুধবার বিকেলে ফরিদপুর সংলগ্ন প্রেসক্লাব চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ‘পুলিশের মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা, পুলিশি নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি ফরিদপুর মহানগর শাখা। এতে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম আব্দুল কাইউম। সমাবেশ উপলক্ষে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে ছোট আকারের একটি মঞ্চ করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কেন্দ্রীয় নেতারা তখনও ঘটনাস্থলে আসেননি। তখন সমাবেশস্থলে ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ও সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন। বিকেল পৌনে ৪টার এর দিকে হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরা অনুমানিক ৩০-৩৫ জন তরুণ লাঠি ও ইট নিয়ে সভাস্থলে হামলা করে। হামলাকারীরা ব্যানার ছিনেয়ে নেয়, চেয়ার ভাঙচুর করে । এ সময় হামলাকারীরা তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ করে।
ওই সময় পুলিশ সিজান নামে ছাত্রদলের এক কর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। তখন পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ঘটনাস্থলে আসেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, ফরিদপুর বিএনপি শামা ওবায়েদ ও নায়াব ইউসুফ এই দুই ভাগে বিভক্ত। তাদের নিজেদের মধ্যে বিরোধ থেকে সভাস্থলে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। হামলা ঠেকাতে গিয়ে পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ ১১টি শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শামা ওবায়েদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের গুলিতে এ পর্যন্ত বিএনপির ১১ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে গত চারদিন আগে আমরা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছি। পুলিশের তত্ত্বাবধানে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এ হামলা করেছে। আমরা দেখেছি তারা বিভিন্ন জায়গায় ককটেল রেখে গায়েবি মামলা দিচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ তারা ফরিদপুরে প্রেসক্লাবে ককটেল ফাটিয়ে আমাদের লোকদের ধরপাকড় করেছে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া বলেন, হামলায় দিলিপসহ আমাদের অন্তত আটজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ রিতু, কামাল, রাজীব ও সিজানসহ বেশ কয়েকজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।