খালেদা-তারেকের বাংলাদেশ মানে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, খুনি ও দুর্নীতিবাজদের বাংলাদেশ, এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক এস এম কামাল হোসেন।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে গাজীপুর সদর মেট্রো থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এস এম কামাল বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গাজীপুরের সাংসদ বীর সন্তান শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জুম্মার নামাজের জন্য ঘর থেকে বের হয়েছিলেন, বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা বাসার সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করে, ঘর থেকে যুবতী মেয়েদের তুলে এনে বাবার সামনে মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। শুধু তাই নয়, লুটপাটসহ জমির ফসল কেটে নিয়ে গেছে। এমন কোনো অপকর্ম নাই যে তারা করে নাই। দেশটাকে দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ ও খুনিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল।
তিনি বলেন, হাওয়া ভবন আর খোয়াব ভবন তৈরি করে কোটি কোটি টাকা লুট করেছে, দুর্নীতি করেছে, বিদেশে পাঠিয়েছে। তাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী আনোয়ার কবির তালুকদার সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ করে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অফিস এবং একটি বিশেষ ভবন মানে হাওয়া ভবনের কারণে ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারিনি। বিদ্যুৎ খাতের ৬ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে। দিনের বেলা হাওয়া ভবনে বসে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও লুটপাট করা হতো আর রাতের বেলা খোয়াব ভবনে বসে ফুর্তি করা হতো।
এস এম কামাল আরও বলেন, তারেক জিয়ার কারণে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়েছিল, ৫০০ বোমায় দেশের ৬৩টি জেলা রক্তাক্ত হয়েছিল।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে একাত্তরের খুনি ও যুদ্ধাপরাধী এবং পঁচাত্তরের খুনিদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে শান্তি সমাবেশে ১৩টি গ্ৰেনেড নিক্ষেপ করেছিল।সেই তারেক রহমানের বাংলাদেশ মির্জা ফখরুলরা কায়েম করতে চায়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানসহ অনেকে।
