বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নের ক্যায়ামলং এলাকায় একটি খামার বাড়িতে একই পরিবারের ৪ জন খুন হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ লাশগুলো উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশের ধারণা, পাররিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
নিহতরা হলেন- গৃহকর্তী সামিরা বেগম (৪২), তার ভাই মোহাম্মদ আমিন (৪৬), ৪ বছরের সন্তান সৈয়দ নুর ও আমিনের ছেলে জুনায়েদ (১২)। তারা সবাই রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, ক্যায়ামলং এলাকার আবু বক্করের খামার বাড়িতে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক সামিরা বেগম তার স্বামী ও এক সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। কয়েক মাস আগে সামিরা তার ভাই আমিনকে ওই বাড়িতে নিয়ে আসেন। সামিরা বেগমের সাথে তার স্বামী সৈয়দ করিমের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হলে ৪ মাস আগে তাকে কুপিয়ে আহত করে তার স্বামী। এরপর থেকে তিনি (সৈয়দ করিম) ওই বাড়িতে আর আসেননি।
পুলিশ ধারণা করছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে মোহাম্মদ আমিনের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন শুক্রবার গভীর রাতে ওই খামার বাড়িতে হানা দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে।
স্থানীয় গোপাল দাশ জানান, প্রথমে খামার বাড়িটি ছিল আবদুল মোতালেবের। পরে সেটি বান্দরবান বাজারের ব্যবসায়ী আবু বক্কর কিনে নেয়। ঘটনার আগের দিন সামিরা বেগমের ভাই মোহাম্মদ আমিনের স্ত্রী ও শ্যালককে খামার বাড়ির পাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন স্থানীয়রা।
সদর থানার ভারপ্রপাক্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহম্মেদ ও তদন্তকারী কর্মকর্তা আমির হোসেন জানান, সামিরা বেগমের পলাতক স্বামী বা মোহাম্মদ আমিনের স্ত্রী, শ্যালক এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। রাত আটটা থেকে ৯টার মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, রাতে ভাত খাওয়ার আগ মুহূর্তে হামলাকারীরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এ সময় ৩/৪ জন সেখানে উপস্থিত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনার পর সকালে খামার বাড়িতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যায়। লাশ দেখতে দূরদূরান্ত হতে লোকজন খামার বাড়িতে ভিড় জমিয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের আলামত সংগ্রহ করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন জানান, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে ও খুনিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।