এক যুগ পর প্রথম বিশ্বকাপে জয়ের দেখা পেল অস্ট্রেলিয়া। গত দুই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও কোনো ম্যাচ না জিতেই বিদায় নিতে হয়েছিল দেশটিকে। কাতারের আল জানুব স্টেডিয়ামে ডি গ্রুপের খেলায় নক আউট পর্ব নিশ্চিতের লড়াইয়ে নেমেছিল তিউনিসিয়া-অস্ট্রেলিয়া। শনিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুখোমুখি হয়েছিল এ দুই দল।
মিশেল ডিউকের করা একমাত্র গোলে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নক আউটে পর্বে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখতে হলে আজকের ম্যাচে দু‘দলেরই জয়ের প্রয়োজন ছিল। আগের ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে ৪-১ গোলে হারা অজিরা আজ ক্লিনশিট ধরে রেখে জিতে নিল ম্যাচটি।
ম্যাচের শুরু থেকেই দু‘দল বল দখলের লড়াইয়ে নামেন। তবে কেউই কারো অর্ধে শট নিতে পারছিলেন না। ম্যাচের ২১ মিনিট সময়ে প্রথম সুযোগ আসে অস্ট্রেলিয়ার জন্য। ফাইনাল থার্ডে জায়গা পেয়ে ২৫ গজ দূর থেকেই শট নিয়েছিলেন ডর্যাগার কিন্তু বল বারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
এর দু‘মিনিট পরেই লেফট ফ্ল্যাংক ধরে গুডউইনের বাড়ানো ক্রসে মাথা লাগিয়ে তিউনিসিয়ার জালে বল জড়াতে সক্ষম হন অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার মিশেল ডিউক।
কিছুক্ষণ পর লাইদৌনির গুডউইনকে করা চ্যালেঞ্জের সুবাদে একটি ফ্রিকিক পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন মুয়ে ফ্রি কিকে শট নিয়ে বল ওপরে তুলে দিলেও এবারে আর বলে মাথা লাগাতে পারেননি ডিউক।
৩৪ মিনিটের মাথায় কর্ণার থেকে গুডউইনের লো বল রিসিভ করেন জ্যাকসন আরভিন। কিন্তু বল বারের পাশ দিয়ে চলে যায়।
৩৮ মিনিট সময়ে তিউনিসিয়ান খেলোয়াড় সাকানি ফাইনাল থার্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ার বক্সে আক্রমণের চেষ্টা করলেও সময়মত বল ক্লিয়ার করতে সক্ষম হন সকারু ডিফেন্ডাররা।
৪৪ মিনিটের মাথায় আবারো আক্রমণে যায় অস্ট্রেলিয়া। গুডউইনের ডানদিক থেকে বাড়ানো ক্রসে আবারো মাথা ছোঁয়ান ডিউক কিন্তু এবারে তিউনিসিয়ান গোলকিপার ডাহমেন সেই শটটি সেভ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে লড়াই করতে শুরু করে তিউনিসিয়া। ৬৪ মিনিটের সময় উঠে যান ডিউক, বদলি হিসেবে নামেন জেমি ম্যাকলারেন। একইসময়ে পরপর দুবার চেষ্টা করেও গোল করতে ব্যর্থ হন তিউনিসিয়ান ফরোয়ার্ড ইউসুফ সাকানি। প্রথমে তিনি বারের বামপাশ থেকে একটি শট নিলে সে বল সরিয়ে দেন অসি কিপার রায়ান। এরপর লেফট ফ্ল্যাংক থেকে কাট ইনসাইড করে আরেকবার শট নেন তিনি কিন্তু এবারেও তাকে পরাস্ত হতে হয় রায়ানের কাছে।
৭৪ মিনিট সময়ে অ্যারন মুয়ের বাড়ানো বলে হাফ ভলিতে গোল করার চেষ্টা করেন ম্যাকলারেন কিন্তু গোলবারের সামান্য ওপর দিয়ে চলে যায় বলটি।
একের পর এক শট নিতে শুরু করে তিউনিসিয়া। ৮৪ মিনিট সময়ে অসি ডিফেন্ডারদের অপ্রস্তুত করে মাঝমাঠ থেকে শট নেন তালবি। তবে দ্রুত রিফ্লেক্স দেখিয়ে সেই শট সেভ করেন রায়ান। ৮৮ মিনিটে রাইট ফ্ল্যাংক থেকে কেচরিদা খাজরির দিকে বল বাড়িয়ে দিলেও তার বাম পায়ের দুর্বল শট আটকে দেন রায়ান। ধৈর্য্য ধরে তিউনিসিয়ার একের পর এক আক্রমণ সামাল দিয়েছেন আজ এই অজি গোলকিপার। তিউনিশিয়ার নেয়া ১৩টি শটই এসেছে দ্বিতীয়ার্ধে। কিন্তু তবুও কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়নি তিউনিশিয়া।