কাতারের আল জানুব স্টেডিয়ামে জি গ্রুপের গ্রুপ পর্বের খেলায় মুখোমুখি হয়েছে সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন। বিশ্বকাপ তো বটেই; আন্তর্জাতিক ফুটবলেই প্রথমবারের মতো আজ একে অন্যরের বিরুদ্ধে খেলেছে ক্যামেরুন ও সুইজারল্যান্ড।
ম্যাচের শুরু থেকেই একাম্বি-হোংলা ও আংগুইসারার উপর্যুপরি অ্যাটাকে কাঁপতে থাকে সুইজারল্যান্ডের রক্ষণ ভাগ। কিন্তু সেই রক্ষণ ভাঙতে সক্ষম হয়নি ক্যামেরুন। সুইসদের গোলকিপার ইয়ান সমারের দারুণ নৈপুণ্যে বারবারই হতাশ হয়েছে ক্যামেরুনকে। ম্যাচের প্রথমার্ধে সুইজারল্যান্ড বলের দখল বেশি থাকলেও ক্যামেরুনই শট নিয়েছে বেশি।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে গোল করার সুযোগ পেয়েছিল সুইসরাও। কর্নার থেকে গোল করার সুযোগ পেয়েও মিস করেন ম্যানুয়াল আকাঞ্জি। প্রথমার্ধে একের পর এক সুযোগ মিসের মহড়া এবং গোলশূন্য স্কোরলাইন দেখে অনেকেই ভাবছিলেন, আরেকটি গোলশূন্য ড্রয়ের পথেই হাটছে হয়ত এই ম্যাচটিও।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধেই পালটে গেল চিত্র, যখন ব্রেল এম্বেলো গোল করলেন। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে ‘ডেডলক’ ভাঙেন ব্রেল এমবোলো। ডানদিক থেকে জারদান শাকিরির বলটি বক্সের সামনে পেয়েই জোরালো শট নেন। আর তাতেই সুইজারল্যান্ড পেয়ে যায় তাদের একমাত্র জয়সূচক গোলটি।
অবশ্য গোল করলেও তিনি কোনো উল্লাস করেননি। নীরবে আবার খেলায় ফিরে আসেন এম্বেলো। এর পেছনেও রয়েছে কারণ।
এর আগেও বিশ্বকাপে খেলেছেন এম্বেলো। কিন্তু সেবারে গোলের দেখা পাননি। নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপে এসে ক্যারিয়ারের পঞ্চম বিশ্বকাপ ম্যাচে পেলেন নিজের প্রথম বিশ্বকাপ গোল। কিন্তু সেই গোলটি এল যে দেশটির বিপক্ষে, সেই দেশটি তার জন্মভূমি!
আসলে ক্যামেরুনে জন্মগ্রহণ করলেও সুইজারল্যান্ডের হয়ে খেলে থাকেন তিনি। আর তাই জন্মস্থানের প্রতি সম্মান রেখে নিজের প্রথম বিশ্বকাপ গোলেও কোনো সেলিব্রেশন করেননি এই স্ট্রাইকার।
ম্যাচের ৫৬ মিনিটে বল নিয়ে সুইজারল্যান্ডের ডি বক্সে ঢুকে পড়ে গোল করার চেষ্টা করেন বায়ার্ন ফরোয়ার্ড চৌপো-মোটিং। কিন্তু তাকে আটকে দেন ইয়ান সোমার। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে প্রতি আক্রমণে যায় সুইজারল্যান্ড। এমনকি কর্নার থেকে গোল করার সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি সুইস স্ট্রাইকাররা।
ম্যাচের ৮০ মিনিটের মাথায় ক্যামেরুন গোলের একটি সুযোগ তৈরি করলেও বল চলে যায় বারের ওপর দিয়ে। আবারো আক্রমণে যায় সুইজারল্যান্ড। ৮৯ মিনিটের মাথায় ডি বক্সের বাইরে থেকে শট নেন জাহা। তবে সুইজারল্যান্ডের শেষ মুহুর্তের সব চেষ্টা একাই রুখে দেন ক্যামেরুনিয়ান গোলকিপার আন্দ্রে ওনানা।