স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘আত্মগোপনে থাকা জঙ্গিরা তাদের অবস্থান জানান দিতে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের ধারণা- তারা পরিকল্পনামাফিক কাজটি করেছে। তারা যাতে দেশের বাইরে পালাতে না পারে সেজন্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করা হবে।’
আজ বুধবার দুপুরে নরসিংদীর মনোহরদী থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এরপর থানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কখনো বলিনি, দেশে জঙ্গিদের মূল উৎপাটন করেছি। শুধু আমাদের দেশ নয়, জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। দেশে জঙ্গিবাদ আমরা নিয়ন্ত্রণে এনেছি, তবু তারা মাঝে মধ্যে গোপনে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।’
তিনি বলেন, ‘জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর কোনো গাফিলতি ছিল কী না তা তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এসব তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি হুংকার দিচ্ছে, তারা ১০ তারিখে সারা দেশ থেকে লোক নিয়ে ঢাকা দখল করবে। তারা নাকি ওই দিন একদফা দেবে। আওয়ামী লীগ সব সময়ই জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে চলে, জনতার শক্তিতে চলে। সেজন্যেই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিশ্বাস করে, জনতার শক্তিতে বিশ্বাস করে। যারা ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে, বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতায় আসে, তারা সব সময়ই এক ষড়যন্ত্রের পর আরেক ষড়যন্ত্র করবে।’
নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নূরুল ইসলাম, নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তামান্না নুসরাত বুবলী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল ফজল মীর, জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।