সিরাজগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫

Slider রাজনীতি


সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলস্টেশন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন—কামারখন্দ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আদনান মুস্তাফিজ, থানার ওসি নুরন্নবী প্রধান, সাবেক সংসদ ও জেলা বিএনপির সভাপতি রোমানা মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান।

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর জনসভা সফল করতে কামারখন্দ দলীয় কার্যালয় আলোচনা সভা করে বিএনপি। পরে সভা শেষে দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আমরা রেলস্টেশনে আসার পর আ.লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা রুমানা মাহমুদের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আমরা প্রতিরোধ করতে গেলে, পুলিশ আমাদের ওপর গুলি চালায়। এতে আমি ও রুমানা মাহমুদসহ অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শেখ বলেন, এখানে বিএনপির মধ্যে গ্রুপিং রয়েছে। তাদের দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে স্টেশনে অবস্থান করা আওয়ামী লীগের ৬ থেকে ৭ জন নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে।

কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরন্নবী প্রধান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। বাধ্য হয়ে টিয়ার শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) আদনান মুস্তাফিজ জানান, বিএনপি তাদের প্রোগ্রাম শেষ করে জামতৈল স্টেশন এলাকায় দোকান-পাট ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। তাদের হামলায় থানার ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *