ঢাকা: বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় ১০ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৭নভেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ১০টি বিভাগীয় সমাবেশে ডেকেছিলাম। তার সবশেষ কর্মসূচি হলো ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশ। এটাতো একটা সমাবেশ। এটা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রীরা বিভিন্নভাবে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আমাদের কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। অথচ তাদের বক্তব্যে মনে হয় যে সামনে একটা যুদ্ধ হবে।
তিনি বলেন, গত ১৪নভেম্বর সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায়, বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ বিশেষ করে ঢাকায় গণ-সমাবেশকে কেন্দ্র করে অনির্বাচিত সরকারের অবৈধ মন্ত্রী ও নেতাদের দায়িত্বহীন উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে গণ-সমাবেশকে নস্যাৎ করার হীন চক্রান্ত করার অপচেষ্টার বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় দৃঢ়তার সঙ্গে বলা হয় ঢাকায় গণ-সমাবেশ চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একটি বিভাগীয় সমাবেশ। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে অনির্বাচিত সরকারের সকল হীন চক্রান্ত ব্যর্থ করে সকল স্তরের জনগণ তাদের ন্যায্য দাবিতে সমবেত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সোচ্চার হবে। একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিকে বানচাল করার চেষ্টা করা হলে জনগণ কখনই তা মেনে নেবে না। সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে জনগণ গণ-সমাবেশকে সফল করবে।
‘আমি শুনেছি এখানে (বাংলাদেশ) পুলিশ নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে ফেলে। অন্য কোনো দেশে এ ধরনের উদাহরণ শুনিনি। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি উচিত নয়। ’ জাপানের রাষ্ট্রদূতের এমন বক্তব্য সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বাস্তবতাতো এটাই। জাপানের রাষ্ট্রদূত যেটা বলেছেন চরম সত্য কথা বলেছেন। যখন আপনারা মানুষ হত্যা করেন, খুন করেন, গুম করে দেন, যখন দিনের ভোট রাতে করেন। ভোট না করেই নিজেদের সরকার ঘোষণা করলেন। তখন তারা বলবে না আজকে ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির চোখ খুলেছে। তারা এখন দেখতে পাচ্ছে বাংলাদেশে কী চলছে। বাংলাদেশতো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। পার্টস অব ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল কমিউনিটি। এখানে যা ইচ্ছা করা যেতে পারবে না। মানুষ বলবেই। যারা উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত তারা তাদের কথা বলবেনই।
রিজার্ভ সংকটের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রিজার্ভের কথা এত বলে কেন কারণ ঘটনা তারা ঘটিয়েছেন। তারা রিজার্ভের টাকা বের করে নিয়ে গেছেন। রিজার্ভের সেই টাকা দিয়ে বিদেশে বিভিন্ন কৌশলে বাড়ি-ঘর অ্যাসেট তৈরি করেছেন।
শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে দুর্ভাগ্যক্রমে ক্রিকেটার সাকিবের নামও যুক্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক রথি মহারিথরা শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। ব্যাংকতো শেষ। বার বার সেন্ট্রাল ব্যাংক বলছে যে না ব্যাংকে কোনো তারল্য সংকট নেই। না থাকলে তাকে স্টেটমেন্ট দিতে হবে কেন, মানুষ ভয় পাচ্ছে কেন? কারণ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এমন জায়গায় চলে গেছে, মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখতে সাহস পাচ্ছে না। ওখান থেকেই টাকা চুরি হয়ে যেতে পারে।