মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর)। ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (তৎকালীন পিজি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি মারা যান। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। ঢাকা ও টাঙ্গাইলের সন্তোষে দিনটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সবসময় ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তার (ভাসানীর) অত্যন্ত সাদাসিধা জীবনযাপন দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসারই প্রতিফলন। মওলানা ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে বলে প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার (ভাসানীর) আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল উল্লেখ করে বলেন, শোষণ, বঞ্চনাহীন ও প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন।
মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আবদুল্লাহ আল নোমানকে আহ্বায়ক ও শামসুজ্জামান দুদুকে সদস্য সচিব করে কমিটি করেছে। বৃহস্পতিবার দলটির উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল টাঙ্গাইলের সন্তোষে শ্রদ্ধা জানাবেন।
টাঙ্গাইলের সন্তোষে, দরবার হল, মাজার প্রাঙ্গণে ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ হতে জনতার শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হবে।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির প্রেরণা। শোষণ-নির্যাতন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কিভাবে লড়তে তা তিনি শিখিয়েছেন। কি করে অধিকার ছিনিয়ে আনতে তা তিনি শিখিয়েছেন।