ছাত্রলীগের নেতাদেরকে মোবাইলে মেসেজ পাঠাতে নিষেধ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘রাতে মোবাইল সাইলেন্ট রেখে ঘুমাই। সকালে দেখি সারা রাত কল, মেসেজ। বেশির ভাগই হলো ছাত্রলীগের। সকালে উঠে আমার মেডিকেশন আছে, আমাকে বাইরে যেতে হয়, তখন আমার প্রস্তুতিটা লাগে। কিন্তু ওই সময় এত মেসেজ পড়তে পড়তে শেষ। সময় ফুরিয়ে যায়। দয়া করে আমাকে মেসেজ দেবেন না।’
দয়া করে মেসেজ পাঠাবেন না, ছাত্রলীগকে কাদের
সোমবার (১৪ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ২২তম সম্মেলন উপলক্ষে প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির বৈঠকে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘তাদের জন্য আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে একটি সুসজ্জিত কার্যালয় তৈরি করে দিয়েছেন। তারা এখানে (ধানমন্ডি) ঘোরে কেন? ছাত্রলীগ ওই অফিসে যাবে। এখানেতো তাদের আসার কথা না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নেতাকর্মীদের একই চোখে দেখেন জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো অতি উৎসাহী ভক্ত সুবিধা পাবেন না। কারও বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ কিংবা নোয়াখালী হলে, আমার ওই সব প্রীতি নাই। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী আমার জন্য সমান। কারও প্রতি আমি বিশেষ দৃষ্টি দিতে পারি না, পারব না।’
সম্মেলন কেন্দ্র করে কাউকে তার অতি উৎসাহী ভক্ত সাজতে নিষেধ করেন কাদের। বলেন, এই দলের নেতাকর্মীদের মনের খবর আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনার চেয়েও বেশি জানেন না। তিনি কাউন্সিলরদের মনের খবর ও জীবনের খবর, এমনকি তারা কীভাবে চলছে, কে অসুস্থ, কার আর্থিক সচ্ছলতা নেই, সব খবর রাখেন। তাই এ দলের নেতৃত্ব নির্বাচনে সভাপতি শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।’