নরসিংদীর রায়পুরায় দুই যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিনজনে। হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১০ জন।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার নীলকুঠি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ধর্মতীর্থ দিঘিরপাড়া গ্রামের ধনঞ্জয় চন্দ্র দাসের ছেলে সানন্দ দাস (৫৫) একই উপজেলার চৌড়াগুদা গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে মো. রেনু মিয়া (৬৬)। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চৌরাগুধা গ্রামের কালাম মিয়ার ছেলে মো. কামাল মিয়াকে (৩৫) চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে নরসিংদী এলাকায় মারা যান।
আহতরা হলেন, মিনি ট্রাকচালক আবদুল জলিল (৫৫), সহকারী মো মাহমুদ আলী (৩৩) ধর্মতীর্থ গ্রামের কেশব দাশ (২৫), সুধাংশো দাশ (৪৫), সবুজ মিয়া (৩৩)। তারা সকলে একই উপজেলার পেশায় মৎস্য ব্যবসায়ী।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে রায়পুরার নীলকুঠি এলাকায় একটি বিআরটিসি বাসের চাকা পাংচার হয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় কিশোরগঞ্জের ভৈরবমুখী একটি যাত্রীবাহী বাস বিআরটিসিকে পেছন থেকে জোরে ধাক্কা দেয়। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা নরসিংদীর ইটাখোলাগামী একটি মাছ-ভর্তি একটি ট্রাক বাস দুটোকে ধাক্কা দেয়। এতে দুই বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে আহত ১০ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক জানান, নিহতদের মরদেহ এখনও ভৈরব হাইওয়ে থানায় আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।