ঘড়ির কাঁটায় আর ঘণ্টা দেড়েক বাকি। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারপরই শুরু হয়ে যাবে যুবলীগের মহাসমাবেশ। সমাবেশ যোগ দিতে এরই মধ্যে সেখানে পৌঁছে গেছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। বাকিরাও ঢুকছেন দলে দলে।
৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুবলীগের বহুল আলোচিত এই সমাবেশ ঘিরে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে সোহরাওয়ার্দীর পথে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যুবলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল-স্লোগানে মুখরিত করে রেখেছেন উদ্যানের চারপাশ।
কাকরাইল, নিউ মার্কেট, মিন্টো রোড, বেইলি রোড, শাহবাগ, বাংলা একাডেমির সামনেও নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি রয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য গাড়ি পার্কিং করায় নয়া পল্টন, কাকরাইলসহ বেশ কয়েকটি স্থানে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।
িবভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের হাতে শোভা পাচ্ছে জাতীয় পতাকা, যুবলীগের সাংগঠনিক পতাকা ও নানা রংয়ের প্ল্যাকার্ড। মিছিল আর বাদ্যযন্ত্রে চারপাশ মাতিয়ে রাখছেন তারা। এছাড়া প্রতিটি জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের রয়েছে পৃথক রঙের টি-শার্ট ও হরেক রকম ক্যাপ।
নিজ নিজ এলাকাভিত্তিক ভাগ হয়ে মিছিল-শোডাউনও করছেন নেতাকর্মীরা।
লক্ষীপুর, বগুড়া, কুমিল্লা ও গাজীপুর থেকে আসা একাধিক নেতাকর্মীর সাথে কথা হয় ঢাকা পোস্টের। তারা বলছেন, যুবলীগ দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের অস্তিত্ব বহন করে। স্বাধীন বাঙালি জাতিসত্তার ইতিহাসে যা কিছু বড় অর্জন তার গর্বিত অংশীদার বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
এই সমাবেশ ঘিরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মাণ করা হয়েছে সুবিশাল প্যান্ডেল। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের পাশে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি যুবলীগের পতাকা শোভা পাচ্ছে।
এ সমাবেশের মধ্য দিয়ে মাঠ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সংগঠনটির নেতারা। দেশের ৬৪ জেলা থেকে এতে ১০ লাখ নেতাকর্মীর সমাগম ঘটবে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে।
আজকের এ সমাবেশকে যুবসমাবেশ বলা হলেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সমাবেশের মধ্যে দিয়ে সরকারবিরোধী দলগুলোকেও একটা সতর্কবার্তা দিতে চায় যুবলীগ। এজন্য তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজকের সমাবেশে জনউপস্থিতির বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।