পেশিশক্তি আর বন্দুকের নলের সাহায্যে নয়, জনগণের ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। দেশের জনগণ শেখ হাসিনা সরকারকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে বার বার নির্বাচিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে মাদারীপুর শহরের স্বাধীনতা অঙ্গনে আসমত আলী খান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৫ দিনব্যাপী ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা ও অপারেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিএনপি রাজধানী ঢাকায় লাখ লাখ মানুষ নিয়ে সমাবেশ করবে। তারা সেখানেই সরকার গঠন করবে বলে শোনা যায়। কিন্তু রাস্তাঘাট বন্ধ করে সমাবেশ করলে, জনগণের জানমালের ক্ষতি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিহত করবে। তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের কথা বিশ্বাস করেন। এজন্যই দেশের সবখানেই একটি কথা শোনা যায়, শেখ হাসিনার বিকল্প কিছু নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সারা বাংলাদেশ নির্বাচনের জন্য তৈরি হচ্ছে, দেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও ক্ষমতায় এনে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করবে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে বাঁচতে দেয়নি। তাদের ধারণা ছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার শরীরে থাকবে, সেই ঘুরে দাঁড়াবে। ইতিহাসে এমন হত্যাকাণ্ড আর একটাও নেই। যেখানে শেখ রাসেলের মতো নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল। তাকে দেশের জন্য শাহাদাৎবরণ করতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দেশ অনেক আগেই উন্নত হতো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এসময় আগামীতে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান করে বলেন, সারা বাংলাদেশ আবারও নির্বাচনের জন্যে তৈরি হচ্ছে। আর সারাদেশের মানুষ প্রস্তুতি নিচ্ছে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্যে। এতে শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলেই এদেশের ভাগ্য উন্নতি হবে। তাই নতুন প্রজন্মকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।
আসমত আলী খান ফাউন্ডেশনের সভাপতি বেগম রোকেয়ার সভাপতিত্বে এসময় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাদারীপুর-৩ আসনের এমপি আব্দুস সোবাহান গোলাপ, টাঙ্গাইল-২ আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, কালকিনির চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক, রাজৈরের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শাহীন চৌধুরী ও মাদারীপুর পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ ও মাদারীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি হাফিজুর রহমান খান।